ব্যাংক থেকে এক লাখ টাকা তুলে ৪৫ হাজার খোয়ালেন এক কৃষক

ঈদকে সামনে রেখে আলমডাঙ্গার ব্যাংকগুলোতে প্রতারক সিন্ডিকেটের অপৎপরতা বৃদ্ধি

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ঈদকে সামনে রেখে আলমডাঙ্গার ব্যাংকগুলোতে আবারও সঙ্ঘবদ্ধ সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আলমডাঙ্গার জনতা ব্যাংক শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করে গুনে নেয়ার সময় সঙ্ঘবদ্ধ প্রতারক সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়ে ৪৫ হাজার টাকা খুইয়েছেন বেলগাছি গ্রামের কৃষক সোনা উদ্দীন।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা বেলগাছি গ্রামের মৃত খেদ আলীর ছেলে সোনা উদ্দীন এক সপ্তাহ আগে মোষ বিক্রি করে এক লাখ টাকা তার আত্মীয় আলমডাঙ্গা বাজারের জুতাপট্টির ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের নিকট জমা রেখে যান। গত বৃহস্পতিবার তিনি শহিদুল ইসলামের নিকট সেই টাকা নিতে গেলে শহিদুল ইসলাম তাকে জনতা ব্যাংকের একাউন্টের একটি ১ লাখ টাকার চেক দেন। দুপুরের দিকে সোনা উদ্দীন চেক নিয়ে জনতা ব্যাংকে যান। যথারীতি চেক ভাঙিয়ে ক্যাশ থেকে ৫০ হাজার করে ৫শ টাকার নোট ২ বান্ডিল নিয়ে ব্যাংকের অভ্যন্তরে বসেই গুনে হিসেব ঠিকঠাক করে নিচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় প্রতারক সিন্ডিকেটের ২ সদস্য তার কাছে গিয়ে নিজেদেরকে ব্যাংক স্টাফ বলে পরিচয় দিয়ে বলে- এতো ছোট নোটের পরিবর্তে বড় নোট নেন। এক হাজার টাকার নোট দিচ্ছি। তাদের প্রস্তাবে রাজি হলে সোনা উদ্দীনের নিকট থেকে ২শটি ৫শ টাকার নোট অর্থাৎ ১ লাখ টাকা নিয়ে ১ হাজার টাকার ৯৫টি নোট ও বাকি ৫ হাজার ১শ টাকার নোট দেয়। পরে বাড়ি ফিরে সোনা উদ্দীন টাকা হিসেব করে দেখেন মাত্র ৫৫ হাজার টাকা। ধারণা করা হচ্ছে- ব্যাংক থেকে সঙ্ঘবদ্ধ ওই প্রতারক সিন্ডিকেট টাকার নোট বিনিময়ের সময় কৌশলে ৪৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংকের সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিওতে ওই প্রতারকদের শনাক্ত করা হয়েছে। ভিডিওতে প্রতারকদের ছবি অস্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। তবে চেষ্টা চলছে ভালোভাবে শনাক্তের। আগামী রোববার ব্যাংক খুললেই এ ব্যাপারে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিতে পারে।