পালিয়ে যাওয়া আলমডাঙ্গার প্রেমিক জুটির সন্ধান দেয়ার দাবি
স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার খাসকররা কলেজের ছাত্র শেখ সজিবকে অপহরণ করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া এক প্রেমিক জুটির সন্ধান দেয়ার দাবিতে তাকে অপরহণ করা হয়েছে বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছে। প্রেমিকা মীমের পরিবারের দায়ের করা অপহরণ মামলায় প্রেমিকের বন্ধু হাজরাহাটির জাফিরুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খাসকররার প্রেমিক শেখ সাদ্দাম হোসেন ও পাঁচকমলাপুরের প্রেমিকা নুসরাত জাহান মীম গত ২৬ আগস্ট পালিয়ে বিয়ে করলে দু পরিবারের মধ্যে বিরোধ বাধে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা বাজারপাড়ার বজলুর রহমানের ছেলে শেখ সাদ্দাম হোসেনের (২৫) সাথে প্রেমসম্পর্ক গড়ে উঠে একই উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের পাঁচকমলাপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের মেয়ে নুসরাত জাহান মীমের (১৮)। তারা গত ২৬ আগস্ট পালিয়ে বিয়ে করে বলে জানা যায়। সে থেকে তারা দুজন পলাতক রয়েছে এ ঘটনায় মীমের পরিবারের পক্ষ থেকে আলমডাঙ্গায় থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় শেখ সাদ্দাম হোসেন, তার ছোট ভাই শেখ সজিব হোসেন ও বন্ধু চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামের জাফিরুলকে আসামি করা হয়। জাফিরুলকে গত ৩ সেপ্টেম্বর আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। এদিকে কলেজছাত্র শেখ সজিব ঝিনাইদহে আত্মগোপন করে। গত পরশু বৃহস্পতিবার সজিবের পরীক্ষা থাকায় খাসকররায় এসে কলেজে পরীক্ষা দিয়ে আবার ঝিনাইদহে ফিরে যাওয়ার পথে অপহরণ করা হয়েছে বলে তার পরিবার দাবি করছে। অপহরণকারীদের বরাত দিয়ে সজিবের পরিবারের লোকজন জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার খাসকররা কলেজ থেকে পরীক্ষা শেষে সজিব ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার পর থেকেই পরিবারের সাথে তার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর সজিবের মোবাইলফোন থেকে তার পিতার মোবাইলফোনে কল আসে। প্রথমে সজিব কথা বলে অপহরণের বিষয়টি জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। তার কাছ থেকে মোবাইলফোন কেড়ে নিয়ে অজ্ঞাত অপহরণকারীরা তার পিতাকে জানায়, সাদ্দাম হোসেন ও প্রেমিকা নুসরাত জাহান মীমকে ফেরত দিতে হবে। এ জন্য তারা সজিবকে অপহরণ করা হয়েছে। এক ঘণ্টার মধ্যে ফেরত না দিলে কিংবা তাদের ঠিকানা না জানালে সজিবকে হত্যা করা হবে। এভাবে কয়েক দফায় মোবাইল করে তারা একই দাবি জানায়। সর্বশেষ গতরাত ১২টার দিকে তারা আবারো ফোন করে একই হুমকি দেয়। বন্ধ করে রাখা হয় সজিবের মোবাইলফোনটি। এ ঘটনায় সজিবের পিতামাতাসহ পরিবারের লোকজন অজানা আশঙ্কায় সময় পার করছেন। সজিবের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তার পিতা-মাতা।