মেমনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শতবর্ষপূর্তি উৎসবের লক্ষ্যে সাধারণসভায় এমপি আলী আজগার টগর
দর্শনা অফিস: দর্শনা মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি এলাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৯১৬ সালে অবিভক্ত বাংলার নদীয়া জেলার নিভৃতপল্লিতে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষানুরাগী স্বর্গীয় বাবু বিপ্রদাস বিশ্বাসের নাম অনুসারে বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয় মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ১৯২০ সালে ১ জানুয়ারি বিদ্যালয়টি প্রথম কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৩২ সালে প্রথম এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। ১৯৭৩ সাল থেকে যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ২৮৩ নং এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত হয়। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ের প্রবীণ ছাত্রছাত্রী দেশ-বিদেশে কর্মরত রয়েছেন। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অনেকেই। এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের বয়স হবে একশ। একশ বছর স্মরণীয় করে রাখতে গ্রহণ করা হয়েছে ব্যাপক আয়োজন। নানামুখি কর্মসুচি পালনের লক্ষ্যে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। শতবর্ষ পূর্তি উৎসবের আয়োজন থাকছে পরপর তিন দিন। আগামী ১৫, ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি ধুমধামের সাথে শতবর্ষ পূরণের আন্দন্দে মেতে উঠবে নবীন ও প্রবীণ ছাত্রছাত্রীরা। উৎসব পরিচালনার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই গঠন করা হয়েছে কমিটি। শতবর্ষ পূর্তিতে কোনো প্রকার ঘাটতি না রাখার জন্য শুধুই উৎসব কমিটি নয়, কমিটি গঠন করা হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ ও ২২টি উপকমিটি। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিদ্যালয় চত্বরে উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বানে সাধারণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য, উদযাপন পরিষদের সভাপতি হাজি আলী আজগার টগর বলেন, শতবর্ষপূর্তি উৎসব হবে আমাদের প্রাণের উৎসব। শত বছরের স্মৃতিমাখা এ বিদ্যালয় আঙিনায় বসবে নবীন ও প্রবীণ ছাত্রছাত্রীদের মিলনমেলা। যে কথা ভাবতেই আনন্দ লাগছে, তা দেখলে কতোই না মজা হবে। এ আনন্দকে ধরে রাখতে আসুন দলমত নির্বিশেষে, ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে এক কাতারে দাড়িয়ে টানা তিনদিন উৎসব আনন্দ ভাগাভাগি করে নিই। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী। প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ, জেলা পরিষদ প্রসাশক মাহফুজুর রহমান মনজু, দর্শনা পৌর মেয়র মহিদুল ইসলাম, আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী শাহ, অ্যাড. শহিদুল ইসলাম, সাবেক মেয়র মতিয়ার রহমান, কেরুজ অবসরপ্রাপ্ত এডিএম আ. মতিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম, মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টু প্রমুখ। গোলাম ফারুক আরিফের উপস্থাপনায় আরো উপস্থিত ছিলেন- হাজি আকমত আলী, কামাল উদ্দিন, আলী মুনসুর বাবু, নজরুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আ. কাদের, কেরুজ কর্মকর্তা শেখ শাহবুদ্দিন, সাবু তরফদার, হাবিবুর রহমান বুলেট, রফিকুল আলম, মোমিনুল ইসলাম প্রমুখ। সভা শেষে উপস্থিতিদের সম্মতিক্রমে ৩২১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ উদযাপন পরিষদ, ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ ও ২২টি উপকমিটির গঠন করা হয়েছে।