লিবিয়ায় গুলিতে ১২ বাংলাদেশি আহত

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: লিবিয়ায় একটি আবাসন ক্যাম্পে ডাকাতের গুলিতে অন্তত ১২ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। এ সময় ডাকাতরা তাদের স্বর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। গত শুক্রবার ভোরে রাজধানী ত্রিপোলি থেকে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরের আজদাবিয়া শহরে এ ঘটনা ঘটে। লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আ.স.ম আশরাফুল ইসলাম মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আহতদের মধ্যে একজনকে গুরুতর অবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।

লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র জানায়, লিবিয়ার আজদাবিয়া শহরে একটি ক্যাম্পে প্রায় ১০০ বাংলাদেশি শ্রমিক থাকতেন। গত শুক্রবার ভোর ৪টায় কয়েকজন বন্দুকধারী ডাকাত ওই ক্যাম্পে হামলা চালায়। এ সময় শ্রমিকরা বাধা দিলে ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে ১২ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। আহত সবাইকে আজদাবিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে টাঙ্গাইলের হুমায়ুন জমিরকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। বাকি ১১ জন হলেন- টাঙ্গাইলের হারুনুর রশিদ, ফজলুর রহমান, মোহাম্মদ ফরিদ, মো. আউয়াল, কুমিল্লার আনোয়ার, বরিশালের সাঈদ, গাজীপুরের মোহাম্মদ শরিফ, নরসিংদীর মোস্তফা কামাল, চাঁদপুরের গোফরান, জামালপুরের মো. ফরিদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আবুল বাসার। অবশ্য লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আ.স.ম আশরাফুল ইসলাম এক চিঠিতে গত রোববারই প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানায়। চিঠিতে বলা হয়, প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের আবাসন ক্যাম্পে ঢুকে একদল ডাকাত এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। ডাকাতরা শ্রমিকদের টাকা-পয়সা এবং মূল্যবান জিনিসপত্রও হাতিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, আহতদের মধ্যে চারজনের দেহ থেকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে গুলি বের করতে হবে। কিন্তু হাসপাতালে অপারেশনের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় নিকটবর্তী আলমার্জ হাসতাপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে বলে জানা গেছে। লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র জানায়, আজদাবিয়া শহরের বলদিয়াতে ২০০ পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ আনুমানিক প্রায় দু হাজার বাংলাদেশি নাগরিক বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছেন।