আত্মস্বীকৃত খুনি রাজিব ও পীরবাবা সামাজুল ৫ দিনের রিমান্ডে

সাংবাদিক সায়েম হত্যা মামলার পলাতক আসামি শিপলু আদালতে আত্মসমর্পণ : জেলহাজতে প্রেরণ

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের চাঞ্চল্যকর সাংবাদিক আবু সায়েম হত্যা মামলার এজেহারনামীয় পলাতক আসামি শিপলু (২৮) আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। সে জীবননগর উপজেলার সিংনগর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং জীবননগর কাজী টাউয়ারের ক্রোকারিজ ব্যবসায়ী। গত রোববার সে চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করে। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

এ দিকে জেলহাজতে থাকা একই মামলার অপর দু আসামি আত্মস্বীকৃত খুনি রাজিব ও তার কথিত পীরবাবা সামাজুলের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা অপরাধ তদন্ত ক্যাম্পের এসআই ফারুক হোসেন গত রোববার ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। বিজ্ঞ বিচারক ওই দুজনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাদের উভয়কে গতকাল মঙ্গলবার সকালে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফারুক হোসেন। তিনি আরো বলেন, আদালতে আত্মসমর্পণকারী এ মামলার অপর আসামি শিপলুর বিরুদ্ধেও গতকাল ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হলেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পিয়ারাতলা গ্রামে নিজ বাড়িতে সাংবাদিক আবু সায়েম তার নিজ শয়নকক্ষে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হন এবং পরদিন ৮ জুলাই বিকেলে ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনার পরপরই পুলিশ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ওই রাতেই খুনি রাজিবকে আটক করে। এরপর নিহত সায়েমের স্ত্রী আফরোজা খাতুন রেশমা বাদী হয়ে গত ৯ জুলাই জীবননগর থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আসামি শিপলু গাঢাকা দেয়। সে এ পর্যন্ত আত্মগোপনে ছিলো। এরপর গত ২২ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জীবননগর থানার এসআই লূৎফুল কবির সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার আলীনগর গ্রাম থেকে খুনি রাজিবের কথিত পীরবাবা সামাজুলকে গ্রেফতার করেন। এ মামলার আর কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় মামলাটি শেষমেষ গত ২৭ আগস্ট সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর হওয়ার পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফারুক হোসেন গত ৪ আগস্ট আসামি রাজিব ও সামাজুলের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে বিজ্ঞ বিচারক ওই দুজনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।