দীঘিনালায় সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি : অস্ত্রসহ একজন আটক

স্টাফ রিপোর্টার: খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় সেনাবাহিনীর সাথে সন্ত্রাসীদের বন্দুকযুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলি ও সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় সেনা অভিযানে বরশোভা চাকমা নামের এক সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।

নিরাপত্তা বাহিনী সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার প্রত্যন্ত কামুক্যাছড়ার গভীর অরণ্যঘেরা ছাতকছড়া এলাকায় সন্ত্রাসীদের অবস্থান নিশ্চিত করে গত রোববার রাত ১০টা থেকে সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত একটানা অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেনাবাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে রাখে। ভোরের দিকে সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর অবস্থান টের পেয়ে তাদের ওপর গুলি চালায়। এ সময় সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলি চালালে উভয়ের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও বরশোভা চাকমা নামের এক সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে ১টি মেশিনগান, ২টি এসএলআর, ২টি এসএমজি উদ্ধার করে। এছাড়াও অভিযানে উদ্ধার করা হয়, ৯টি ম্যাগাজিন, সাড়ে ৩শ রাউন্ড বিভিন্ন অস্ত্রের গুলি, ৬ সেট সেনাবাহিনীর আদলের পোশাক, ৭টি মোবাইলফোন ও একটি ল্যাপটপ।

সূত্র জানায়, অভিযানে আটক বরশোভা চাকমার বাড়ি রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট এলাকায়। তার বাবার নাম যতীন্দ্র চাকমা। বরশোভা চাকমা জানান, তিনি কয়েকদিন আগে জনসংহতি সমিতির সংস্কার গ্রুপের সদস্য হিসেবে যোগ দেন। তার সাথে মোট ২৫ জনের একটি সশস্ত্র গ্রুপ অবস্থান করলেও বাকিরা অভিযানের সময় পালিয়ে যায়। খাগড়াছড়ির রিজিয়নের কমান্ডার সম মাহবুব আলম পিএসসি, দীঘিনালা সেনা জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল মহসিন রেজা, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের জিটুআই নাসির উল হাসান খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহকারী তথ্য ও প্রচার বিভাগের প্রশান্ত চাকমা জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কোনো সশস্ত্র গ্রুপ নেই। সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়া ব্যক্তি তাদের সংগঠনের কেউ নয়।