জীবননগরের দেহাটি গ্রামে বিয়ের প্রলোভনে ষোড়শীর দেহভোগ : অন্তঃসত্ত্বা

 

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দেহভোগ করায় জীবননগরের দেহাটি গ্রামে এক ষোড়শী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। অভিযুক্ত প্রেমিক ও তার স্বজনরা অপকর্ম ঢাকতে ষোড়শীকে কয়েকবার গর্ভপাত ঘটাতে নানা চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রাম্য সালিসে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে অভিযুক্ত প্রেমিক কৃতকর্মের দায়ভার অস্বীকার করায় মাতবররা ভিকটিমকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ফলে অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে গর্ভবতী ষোড়শী অভিযুক্ত প্রেমিক রাসেল হোসেনের নামে জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করেছে।

এলাকাবাসীসূত্রে জানা গেছে, উথলী ইউনিয়নের দেহাটি মোল্লাপাড়ার এক হতদরিদ্র দিনমুজরের ষোড়শী মেয়ের সাথে প্রতিবেশী মৃত আক্কাস মোল্লার ছেলে রাসেল হোসেন (২৩) প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলে। তার বাড়িতে ওই মেয়েটি অবাধে যাতায়াত করায় বিয়ের আশ্বাস ও প্রলোভন দেখিয়ে দেহভোগ করে আসছিলো। পরিবারের সদস্যদের অলক্ষ্যে সুযোগ বুঝে অবাধ মেলামেশা করায় সে গর্ভবর্তী হয়ে পড়ে। সন্তান সম্ভবার কথা বললে সে সন্তান নষ্ট করে দেয়ার পর বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয় রাসেল। কয়েকবার সন্তান নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন স্থানে নিয়ে চাপ সৃষ্টি করে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে লাখ টাকা দেয়ার প্রলোভন দেখায়। গর্ভবতী ষোড়শী এ অভিযোগ তুলে ধরে বলেছে, প্রতারকের খপ্পরে পড়ে আমি সব হারিয়েছি। তার দেয়া আশ্বাসে আর বিশ্বাস না পেয়ে অনাগত সন্তান পেটে নিয়ে বিয়ের দাবিতে অনড় রয়েছি। জনশ্রুতি উঠেছে, অভিযুক্ত ও তার স্বজনরা এ অপকর্ম ধামাচাপা দিতে ঘটনাটি অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে নিজেকে রক্ষা করতে গ্রামের কতিপয় ব্যক্তিকে ম্যানেজ করতে টাকা-পয়সা নিয়ে দেনদরবার চালিয়ে যাচ্ছে। সুযোগ পেয়ে অনেকে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। উথলী ইউপির ৩নং ওয়ার্ড সদস্য দুলুরুদ্দিন দুলাল বলেছেন, ইতঃপূর্বে কয়েকজনের নাম শোনা গেছে। গত শুক্রবার গ্রাম্য সালিস সভায় উভয় পক্ষের প্রাথমিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানিতে অন্তঃসত্ত্বা ষোড়শী প্রতিবেশী রাসেলকে অভিযুক্ত করছে। অভিযুক্ত রাসেল নিজেকে নির্দোষ দাবি করছে। যেহেতু ঘটনাটি সালিস যোগ্য অপরাধ, সেকারণে ভিকটিমকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরার্মশ দেয়া হয়েছে। সালিস সভায় উপস্থিত কয়েকজন ব্যক্তি দাবি করেছেন, মেয়েটি প্রথমে কয়েকজন ব্যক্তির নামধাম প্রকাশ করেছে। এখন সে অন্যের প্ররোচনায় প্রভাবিত হয়ে রাসেলকে দোষারোপ করছে। এ ব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগটি আমলে নিয়ে নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।