জামায়াতের সাবেক দু এমপিসহ গ্রেফতার ১৩

 

স্টাফ রিপোর্টার: জামায়াতের সাবেক দু সংসদ সদস্যসহ সংগঠনটির ১৩ নেতাকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজশাহী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল খুলনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নেতা হারুন অর রশিদ ও লস্কর মোহাম্মদ তাসনিম রয়েছেন।

গতকাল সোমবার দুপুরে পুলিশ মিরপুর-১১ নম্বর সেকশনে আলুপট্টি এলাকায় বি-ব্লকে ১০ নম্বর রোডে জামায়াত নেতা অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদের ৪ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দাবি, ওই বাসা থেকে ২০টি তাজা হাতবোমা, বিপুল পরিমাণ জিহাদি বই, চাঁদা আদায়ের রসিদ ও লাঠি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার অপর নেতারা হলেন- কাফরুল থানা জামায়াতের আমীর মো. তাসলিম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নেতা আবুল কালাম আজাদ, মো. মনসুর রহমান. মো. জাকির হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর আলম, এবিএম নূরুল্লাহ, মো. আবুল হাশেম ও মো. সাব্বির। সোমবার সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে জামায়াত নেতারা ওই বাসায় গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। এ খবর পেয়ে ওই বাসায় অভিযান চালানো হয়। এ ব্যাপারে পল্লবী থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গার্মেন্ট শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করতেই জামায়াতের সাবেক দু সংসদ সদস্যসহ গ্রেফতারকৃতরা ষড়যন্ত্র করছিলেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) মো. সাজ্জাদুর রহমান। ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য গ্রেফতারকৃতরা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জাম কুরিয়ার সার্ভিসযোগে ঢাকায় নিয়ে এসেছিলেন।

শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতারকে অগণতান্ত্রিক ও বোমা উদ্ধারকে সাজানো নাটক দাবি করে আজ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াত। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন। বিবৃতিতে দেশব্যাপি দলীয় নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের জন্য সব নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, অধ্যাপক মুজিবুর রহমান একটি বাসায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক করছিলেন। সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের গ্রেফতার করে। ঘরোয়া একটি বৈঠক থেকে জামায়াতের নেতাদের এভাবে গ্রেফতারকে আইনের দৃষ্টিতে অন্যায় দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুধু তাদের গ্রেফতারই করা হয়নি, বরং তাদের কাছ থেকে ২০টি বোমা পাওয়া গেছে বলে একটি নাটক সাজানো হয়েছে।