জিন-ভুতের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ : অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী হাসপাতালে

 

স্টাফ রিপোর্টার: জিন-ভুতের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতপরশু রাতে পেটের তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে নিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা বলেছেন, সাড়ে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর গর্ভের সন্তান গর্ভেই নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে দ্রুত গর্ভপাত করাতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিনের ছয়ঘরিয়া দক্ষিণপাড়ার নয়ন মুন্সির ছেলে আলেফ মুন্সি দীর্ঘদিন ধরে ওঝা কবিরাজের কাজ করে আসছিলো। এই আলেফকে প্রতিবেশীর ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে তাকে দাদা বলেই ডাকতো। চিকিৎসা দেয়ার কথা বলে কাছে ডেকে জিন-ভুতের ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে আলেফ। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে স্কুলছাত্রী। তার দেহের পরিবর্তন ধরা পড়লে নিকটজনদের জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের বিষয়টি ফাঁস করে দেয় স্কুলছাত্রী। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামের সাধারণ মানুষ ফুঁসে ওঠে। ক্ষুব্দ জনতা তাকে গত ২৩ আগস্ট দুপুরে আলেফকে ধরে পুলিশে দেয়। স্কুলছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। আলেফকে জেলহাজতে রাখা হয়েছে। এদিকে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে বাড়িতেই ছিলো স্কুলছাত্রী। গতপরশু রাতে পেটে তীব্র যন্ত্রণা দেখা দিলে তাকে নেয়া হয় দামুড়হুদা মডেল থানায়। পরে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা চলছে। গতকাল প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা জানতে পারেন গর্ভের সন্তান মারা গেছে। দ্রুত গর্ভপাত ঘটাতে হবে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সেলিমা আক্তার আল্ট্রাসনো করে এ তথ্য জানিয়েছেন বলে জানা গেছে।