মাথাভাঙ্গা মনিটর: শ্রমিক সংগঠনগুলোর ডাকে ভারতজুড়ে ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে এটিই দেশজুড়ে প্রথম ধর্মঘট। কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিকবিরোধী নীতির প্রতিবাদে সেন্ট্রাল ট্রেড ইউনিয়নগুলোর নেতারা বুধবার এ ধর্মঘট ডাকেন। পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে ধর্মঘট পালিত হয়েছে। এতে করে দেশজুড়ে ব্যাংক, বীমা কোম্পানি, রাষ্ট্রীয় এবং ব্যক্তিগত মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো বন্ধ হয়ে যায়। অনেক জায়গায় পরিবহন শ্রমিক ও ব্যাবসায়ীরাও এ ধর্মঘটের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে কাজ বন্ধ রাখে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে দেয়া হয়নি। সরকারি কার্যালয়গুলোতে কর্মী উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত কম। শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতারা একে অভূতপূর্ব সাফল্য বলে দাবি করেছেন। অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের নেতা গুরুদাস দাসগুপ্ত আইএএনএস কে বলেন, দেশজুড়ে যে সাড়া পেয়েছি তা এক রকম অপ্রত্যাশিত। রাজধানী দিল্লিতে ধর্মঘটের এরকম কঠোর প্রভাব এবারই প্রথম দেখছি। এটা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। ১২ দফা দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। শ্রমিক আইন সংশোধন এবং শ্রমনীতি পরিবর্তন করা, মাসিক সর্বনিম্ন মজুরি ১৫ হাজার রুপি করা, সরকারি কোম্পানি ব্যক্তি মালিকানায় হস্তান্তর বন্ধ যেগুলোর মধ্যে অন্যতম। ট্রেড ইউনিয়নের দাবি, সারাদেশে প্রায় ৩০ কোটি শ্রমিক এই ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন। ভারতজুড়ে তেমন কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই এ ধর্মঘট পালিত হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনায় বামপন্থি এবং ক্ষমতাশীন তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। ধর্মঘটের কারণে আর্থিক লেনদেন ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে আইএএনএস কে জানান, অল ইন্ডিয়া ব্যাংক ইমপ্লইস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সিএইচ ভেঙ্কাটাচালাম।