চুয়াডাঙ্গার বহুল আলোচিত মাদকের ঘাঁটি আকন্দবাড়িয়া

ধ্বং হচ্ছে যুবসমাজ : প্রতিকারের অপেক্ষায় গ্রামবাস

 

দর্শনা অফিস: গ্রামের বদনাম ঘুচাতে একাধিকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে সচেতনমহল। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মাদকচোরাকারবারীদের সংখ্যা। অবাধে বিকিকিনি হচ্ছে মাদকদ্রব্য। ধ্বংসের পথে এগোচ্ছে যুবসমাজ। বাড়ছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের বহুল আলোচিত মাদকের খোলা বাজার নামে খ্যাত আকন্দবাড়িয়া। এ গ্রামে রয়েছে শতাধিক মাদকদ্রব্য বিক্রেতা। এক প্রকার প্রকাশ্যেই যে যার মতো বিকিকিনি করছে মারণনেশা হেরোইন, ফেনসিডিল, মদ, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য। আকন্দবাড়িয়ার মাদকের বাজারে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাদকচোরাকারবারী ও নেশাগ্রস্তদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে আকন্দবাড়িয়ার নেশার আড্ডায় অংশ নেয় উঠতি বয়সের যুবকেরা। মাদকদ্রব্য বিক্রেতাদের শুধু নিজ নিজ বাড়ির আঙিনা বা গ্রামেই বিকিকিনি সীমাবদ্ধতার মধ্যে নেই। আকন্দবাড়িয়া থেকে দেশের বিভিন্ন শহরে নানা রকমের কৌশলে পাচার করা হয়ে থাকে হেরোইন, ফেনসিডিল ও গাঁজা। সীমান্ত সংলগ্ন গ্রাম হওয়ায় বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে অনেকটাই সহজ উপায়ে ভারত থেকে হেরোইন, ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য পাচার করে আনা হয়ে থাকে। সীমান্তে চোরাই পথে মাদকদ্রব্য আনাকালে বিএসএফ’র গুলিতে প্রাণ হারাতে হয়েছে অনেককেই। তবু বন্ধ হয়নি মাদকপাচার। গোয়েন্দা পুলিশ, থানা-ফাঁড়ি পুলিশ, বিজিবিসহ প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগ থেকে অভিযান চালিয়ে মাঝে মধ্যে হাতেগোনা ২-১ জন বহনকারী মাদকদ্রব্যসহ গ্রেফতার করা হলেও এ চক্রের হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়। ফলে মহাজনরা ফের লোকসান পুষিয়ে নিতে অলিখিতভাবে নতুন করে জোন নিয়োগ করে। শুরু হয় লোকসান উশুলের পালা। বাড়িয়ে দেয়া হয় বিকিকিনির মাত্রা। দীর্ঘদিন থেকে অবাধে এ ধরনের মাদকদ্রব্য বেচাবিক্রি কারবার চললে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় দিন দিন এর মাত্রা বাড়ছেই। যে কারণে অনেকটাই সাহস পাচ্ছে মাদকচোরাকারবারীরা। অভিযোগ উঠেছে, খুচরা মাদককারবারীর সংখ্যা গুনে শেষ করা অসম্ভব। তবে মাদককারবারীচক্রের হোতাদের মধ্যে রয়েছে- গাংধারপাড়ার জলিল, নজু, সাজাহান, বিলু, হামিদা, বিপ্লব, শোভা ওরফে বিন্দুমাশি, সবুর, বকুল, মাঝপাড়ার খোড়া সাজাহান, মসজিদপাড়ার নাজমুল, ফার্মপাড়ার রহিমা, জুলিয়া, জহু, খয়রন, সিদ্দিক, গুলজেল, নিলু, ছোটবুড়ি, রাঙ্গিয়ারপোতার আয়ুব, আলী, রুস্তম, আয়নাল, আনারুল ও মজিবর।