আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় রেলওয়ের লিজকৃত জমিতে মার্কেট নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে লিজ গ্রহীতা ও গোবিন্দপুরের বেশ কিছু যুবকদের মধ্যে বিরোধ দানা বেঁধে ওঠে। আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের সামনে উভয়পক্ষ অবস্থান নিলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ নিয়ে এখনও শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের সামনে রেলওয়ের বেশ কিছু জমি লিজ গ্রহণ করেন হারদী ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলামসহ কয়েকজন। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ৬৬টি দোকানের প্লট লিজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে তারা ওই প্লটগুলোতে রেলওয়ে বিভাগের নকশা অনুসারে দোকান নির্মাণের জন্য লিজ পান। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ রেলওয়ে তাদেরকে শর্ত সাপেক্ষে এ লিজ প্রদান করে। শর্তানুযায়ী দোকানঘর নির্মাণের উদ্দেশে গতকাল নুরুল ইসলাম সেখানে মেশিন দিয়ে মাটি পরীক্ষা শুরু করেন। দুপুরের দিকে গোবিন্দপুরের বেশ কিছু যুবক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তারা মাটি পরীক্ষার কাজ বন্ধ করে দেয়। এ সময় তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দু পক্ষ রেললাইনের ২ পাশে অবস্থান নেয়। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশের উপস্থিতিতে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে শহরে এ নিয়ে এখনও চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে নূরুল ইসলাম বলেন, সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বৈধভাবে তারা প্লটগুলো লিজ পেয়েছেন। সকলেই তো দেখেছে সেখানে বড় গর্ত ছিলো। লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে তা ভরাট করেছি। তিনি বলেন, আমার লিজের বৈধ সম্পত্তি কেন ভোগদখলে বাঁধা দেয়া হবে? দেশে আইন আছে, প্রশাসন আছে।
অন্যদিকে, গোবিন্দপুরের যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেন বলেন, বিবাদমান ওই জমির চারপাশে দীর্ঘদিন ধরে আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত বেশ কয়েকটি বেদ পরিবার বাস করে আসছে। নূরুল ইসলাম তাদেরকে উঠে যেতে চাপ সৃষ্টি করে আসছিলেন। হতদরিদ্র কতিপয় বেদ পরিবারকে যাতে জোর করে তুলে দিতে না পারে, সেজন্যই তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলো।