স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম জেলা আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের পক্ষ ত্যাগ করে এক বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের অসাংগঠনিক সিদ্ধান্তের সাথে একমত হতে না পেরে তার পক্ষ ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি’।
বিবৃতিতে এম জেনারেল ইসলাম বলেছেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক ভীত মজবুত ও দলীয় নেতাকর্মীদের বিরোধ নিষ্পত্তির করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি গত ২৭ এপ্রিল পুরোনো কমিটি বিলুপ্ত করে অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসকে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয়। আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর দলীয় নেতাকর্মীরা আশা করছিলেন ওই কমিটির মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে এবং ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়নের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী জেলা কমিটি গঠিত হবে। একই সাথে দীর্ঘদিনের বিরোধ নিষ্পত্তি হবে। তারই ধারাবাহিকতায় জেলার প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌর ও থানা বিএনপির কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতেই দেখা যায় রাজপথে থাকা ত্যাগী নেতাকর্মীদের কমিটিতে স্থান না দিয়ে অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস ও তার অনুসারীরা অযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থলভিষিক্ত করতে থাকেন। এক পর্যায়ে অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের একগুয়েমি ও অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের সাথে একমত না হতে পারায় আহ্বায়ক ও যুগ্মআহ্বায়কদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার প্রেক্ষিতে দলের যুগ্মআহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনসহ জেলা আহ্বায়ক কমিটির সিংহভাগ সদস্য অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের সকল প্রকার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসেন। যার ফলে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে আবারও হতাশার জন্ম নেয়। ভাটা পড়ে জেলায় শক্তিশালী কমিটি গঠনের মহৎ উদ্যোগ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এক পর্যায়ে সকল দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী জেলা কমিটি গঠনের জন্য গত ২৩ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে আমিসহ (এম জেনারেল ইসলামসহ) আহ্বায়ক কমিটির আরও ৪ জন সদস্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসকে অনুরোধ করা হয়। যা ২৪ আগস্ট পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বিএনপি আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যে সব জেলায় সম্মেলন হয়নি সে সব জেলায় কমিটি গঠনের নির্দেশ দিলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তড়িঘড়ি করে জেলার নেতাকর্মীদের চাওয়া-পাওয়াকে গুরুত্ব না দিয়ে তিনি তার একক সিদ্ধান্তকে কার্যকর করার লক্ষ্যে এবং জেলা বিএনপির সম্মেলন করার জন্য সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করাসহ সম্মেলনে প্রধান অতিথি নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে যোগাযোগের জন্য ঢাকায় যান।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস রাজপথের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করে অযোগ্য ও নিষ্ক্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়কের একগুয়েমি অসাংগঠনিক দলের স্বার্থ বিরোধী ও মনগড়া কার্যক্রমের সাথে একমত না হতে পারায় অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের সাথে আমি এম জেনারেল ইসলাম সকল প্রকার সাংগঠনিক সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গা জেলার যে সকল নেতাকর্মীগণ জেলার সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে গ্রহণযোগ্য ও গণমুখি তথা একটি শক্তিশালী কমিটি গঠনের জন্য ন্যায়সঙ্গত দাবির পক্ষে কাজ করেছেন, আমি নিজে সে সকল নেতাকর্মীদের সাথে দলের সকল প্রকার কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করছি।