গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর সদর উপজেলার শৈলমারী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক ছাত্রী অজ্ঞানের দু দিন পর এবার গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একই ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণমনস্তাতিক রোগে (মাসসাইক্রেটিক) অজ্ঞান হলে বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষকসহ অন্তত ২০জন ছাত্রছাত্রীকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ভাটপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান জানান, বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে অস্টম শ্রেণির ছাত্র সুমন হঠাত বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তার দেখাদেখি সহকারী শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম, তোফাজ্জেল হোসেন, সালাউদ্দীন ও সাইদ হোসেন, দশম শ্রেণির ছাত্রী রিপা, সুমিতা, ইয়ামন, রোজিনা, ইভা, সপ্তম শ্রেণির শোভা, ষষ্ঠ শ্রেণির সাকিনা ও তানভির, অস্টম শ্রেণির সুমন ও নবম শ্রেণির সাথিসহ অন্তত ২০জন অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এদেরকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আরো কয়েকজনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অসুস্থ শোভা বলে, হঠাত মাথার ভেতর ঝিম ঝিম ভাব হবার পর বমি হয়। মাথা ঘুরে পড়ে যাবার পর কি হয়েছে জানি না। চোখ মেলে দেখি আমার মতো অনেকেই হাসপাতালে। একই কথা জানালেন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র তানভীর।
অসুস্থ শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম জানান, হঠাত কয়েকজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে বমি করতে দেখে নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়ি। একই সাথে শিক্ষক তোফাজ্জল, সালাউদ্দীন, সাঈদ অসুস্থ হয়ে পড়লে সবাইকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্থানীয়রা। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আলাউদ্দীন আল আজাদ জানান, এটি ভয়ের কিছু নেই। একজনের দেখাদেখি অন্যজনের হয়। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলে ঠিক হয়ে যাবে। ভর্তিকৃতদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সন্ধ্যার আগেই তারা বাড়ি ফিরতে পারবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এদিকে ঘটনার পর বিদ্যালয় ছুটি দেয়া হয়। অবশ্য বিকেলে সকলেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।
এর আগে গত রোববার সদর উপজেলার শৈলমারী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অর্ধ শতাধিক ছাত্রী অজ্ঞান হলে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিনই বিকেলে তারা সকলেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যায়।