তাহলে তার কুফল তো সমাজকে বহন করতেই হবে

 

চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহসহ দেশের অধিকাংশ এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে অসংখ্য বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবাদান কেন্দ্র। বেসরকারি এসব হাসপাতাল, ক্লিনিক, নার্সিং হোমে বাধ্যতামূলক থাকতে হবে সার্বক্ষণিক ডিপ্লোমাধারী নার্স, এমবিবিএস ডাক্তারসহ স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ ও অপারেশন থিয়েটার। কলেবর অনুপাতে সংখ্যা বাড়বে। সরকারি বিধি বিধান মানা হচ্ছে কি-না তা দেখার দায়িত্ব জেলা পর্যায়ে জেলার শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তা তথা সিভিল সার্জনের। তিনি কি দেখেন? নাকি বিশেষ সুবিধা নিয়ে দিবানিদ্রায় পার করেন চাকরির সময়?

আনাচে কানাচে গড়ে তোলা অধিকাংশ নার্সিং হোম, ক্লিনিক তথা বেসরকারি সেবাদান কেন্দ্রে নিয়মনীতি মানাই হয় না, কোনো কোনো ক্লিনিকে চিকিৎসক সেজে ঝাড়ুদারই অপারেশন করে বলে অভিযোগ রয়েছে। আর ডিপ্লোমাধারী সেবিকা? দুরস্ত। এ দায়িত্বটা আয়ারাই সাধারণত সেরে নেন। এতে চিকিৎসাসেবা প্রত্যাশীদের ভয়ঙ্কর ক্ষতির শিকার হতে হয়। মূলত সে কারণেই নার্সিং হোম, ক্লিনিকে অপচিকিৎসায় রোগী মারা যাওয়ার অভিযোগ এখন নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিকার? যাদের দেখার দায়িত্ব তারা যদি না দেখেন তা হলে প্রতিকারের আশা অবান্তর। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন, যাদের দেখার দায়িত্বে নিয়োজিত করেছে জনগণ তথা সরকার তারা কেন দেখেন না?

চাকরি। বেতনসহ সকল সুবিধা নেবো। এরপর যদি উপরি পাওয়া যায়, আর তা বেমালুম হজম করার অনুকূল পরিবেশ যদি বিরাজ করে তা হলে ক’জনই আর নীতিতে অটুট থাকতে পারেন? একের দেখে অন্যেও উদ্বুদ্ধ হন। সংক্রমিত হয় নিয়মনীতি বিবর্জিত তথা অনৈতিক কাজের প্রবণতা। নিচুতলার দুর্নীতি দূর করতে দরকার উঁচুতলার জবাব নেয়া কর্তাদের কুম্ভঘুম ভাঙানো। আর কুম্ভঘুমের আড়ালেও যদি থাকে বিশেষ সুযোগ নেয়ার বাড়তি বাতাস, তা হলে তার কুফল তো সমাজকে বহন করতেই হবে। তবে কি নতুন করে জাগতে হবে জনতাকে?