সিআইডি পরিচয়ে চুয়াডাঙ্গা শ্মশানপাড়ার রুপার কাছে টাকা দাবি!
স্টাফ রিপোর্টার: পুলিশ কনস্টেবল শাহিনকে চুয়াডাঙ্গা শ্মশানপাড়ার জনগণ ধরে পুলিশে দিয়েছে। সিআইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে শ্মশানপাড়ার রুপার নিকট চাঁদা দাবি করায় তাকে ধরে হালকা উত্তমমধ্যম শেষে পুলিশে দেয়া হয়। পরে তাকে ক্লোজড করা হয় পুলিশ লাইনে। সহকারী পুলিশ সুপার বলেছেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
জানা গেছে, কনস্টেবল শাহিন পুলিশ কন্ট্রোলরুমের ওয়্যারলেস অপারেটর হিসেবে নিযুক্ত। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গতকাল রোববার সকাল ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শ্মশান পাড়ার কটার মেয়ে রুপার (৩৫) কাছে সিআইডি অফিসার পরিচয়ে টাকা দাবি করেন শাহিন। পরবর্তীতে তিনি শ্মশানপাড়ার হবির ছেলে রোকন (২৫) এবং অজ্ঞাত একজনকে সাথে নিয়ে রুপার কাছে গিয়ে টাকার জন্য চাপাচাপি শুরু করলে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে। রোকন ও অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি সরে পড়ে। এ সময় স্থানীয় জনতা শাহিনের পরিচয়পত্র দেখতে চান। আইডি অফিসার বলে পরিচয় দিলেও পুলিশ কনস্টেবল পরিচয়পত্র দেখানো মাত্রই উপস্থিত কিছু যুবক মারমুখি হয়ে ওঠে। হালকা মারধরও হয়। খবর পৌঁছায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায়। থানার এসআই আবু জাহের সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছুন। সেখানে স্থানীয় জনতার সাথে কথা বলেন। বিষয়টি জানেন। এ সময় শাহিন বলে, এরকম কাজ আর হবে না। অপরদিকে রুপার বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, রুপার আয়ের উৎস নিয়ে যেমন নানা সন্দেহ রয়েছে, তেমনই কিছু অভিযোগও রয়েছে। তবে উপযুক্ত প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না।
পুলিশ কনস্টেবল শাহিন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার ছুফি উল্লাহ বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে শাহিন বলছে সে কবিরাজের কাছে ওষুধ আনতে গিয়েছিলো। সে তার কাছে থাকা কবিরাজের দেয়া ওষুধ দেখিয়েছে। কিন্তু স্থানীয় জনগণ ভিন্ন কথা বলছে। তাদের দাবি শাহিন সিআইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়েছিলো। এখন প্রকৃত ঘটনা তদন্ত না করে কোনো পদক্ষেপ নেয়া যাবে না। তবে ভুক্তভোগী মেয়েটি থানায় অভিযোগ বা মামলা করেনি। অভিযোগ বা মামলা করলে সত্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় শাহিনকে সাময়িকভাবে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।