চুয়াডাঙ্গায় ঘুষের টাকাসহ আটক স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদ আলমের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী মাহমুদ আলমের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। গতকাল রোববার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শিরিন কবিতা আখতার শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা শহরের পুরাতন হাসপাতালপাড়ায় অবস্থিত স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয় থেকে কুষ্টিয়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদ আলমকে (৪৭) ঘুষের ৪৮ হাজার টাকাসহ আটক করে।

আটককৃত প্রকৌশলী মাহমুদ আলম কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া ছয়রাস্তা মোড়ের মরহুম আব্দুল বারীর ছেলে। আটকের পর দুদক উপপরিচালক মো. আব্দুল গাফফার বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা এবং ১৯৮৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালের বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমএম কামাল এন্টারপ্রাইজসহ আরো ১০টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশপ্রাপ্ত হলে তাদের পক্ষে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর মৃত আইয়ুব আলী মণ্ডলের ছেলে ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ৪৩ লাখ ১৫ হাজার ৮৫০ টাকার সরকারি কাজ সম্পন্ন করেন।

এদিকে ছয়টি কাজের নিরাপত্তা জামানতের টাকা ফেরত চাইলে প্রকৌশলী মাহমুদ আলম ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। গত ১৫ জুলাই ওই ঠিকাদার বাধ্য হয়ে ঝিনাইদহের ঠিকাদার ইমারত আলীর সামনে ১ লাখ টাকা ঘুষ দেন। কিন্তু ঘুষের টাকা নিয়েও জামানতের টাকা ফেরতের উদ্যোগ নেননি। এরপর গত ৭ আগস্ট আরো ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দাবি করলে ১২ আগস্ট টাকা দেবেন বলেন।

এদিকে ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম প্রকৌশলীর ঘুষ দাবির বিষয়টি দুদক কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালককে অবগত করেন এবং সেখানে লিখিত অভিযোগ করেন। দুদক উপপরিচালক মো. আব্দুল গাফফারের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল অভিযুক্ত প্রকৌশলীকে হাতেনাতে ধরতে ওই দিন ফাঁদ পাতে। পরিকল্পনা অনুযায়ী খাইরুল ইসলাম দুদক উপপরিচালকের সামনেই প্রকৌশলী মাহমুদ আলমকে টাকা প্রদান করেন। এ সময় দুদক কর্মকর্তারা প্রকৌশলী মাহমুদ আলমকে হাতেনাতে ধরেন।