ঘুষ নিতে গিয়ে ইবি কর্মচারী হাতেনাতে আটক

 

ইবি প্রতিনিধি: ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক কর্মচারী। গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে এ ঘটনা ঘটে। ওই কর্মচারীর নাম মনিরুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে নিম্নমান সহকারী পদে কর্মরত।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস ও ভুক্তভোগী ছাত্র সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০০০-০১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মাকসুদুল মান্নান। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির সনদপত্র উত্তোলনের জন্য তিনি গত ২৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংক শাখায় নির্ধারিত টাকা জমা শেষে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের কাউন্টারে রসিদ জমা দেন মাকসুদুল মান্নান। মাকসুদুল জানান, যেদিন আমি টাকা জমা দেয়ার রসিদ কাউন্টারে জমা দিই সেই দিন মনিরুল কাজটি দ্রুত করে দেয়ার জন্য আমার কাছে পাঁচশত টাকা দাবি করে। ওই দিন আমি তাকে একশত টাকা দিই। গতকাল রোববার সনদ উত্তোলন করতে গেলে সে বাকি চারশত টাকা দাবি করে। এ সময় আমার কাছে বেশি টাকা না থাকায় একশত টাকা দিতে রাজি হলে সে কাজটি করে দেয়ার জন্য লিপিকুশলীকে সুপারিশ করে।

এ বিষয়ে লিপিকুশলী আবু তালিশ বলেন, মনিরুল জরুরি ভিত্তিতে সনদ উত্তোলন করে দেয়ার কথা বলে ওই ছেলের কাছে দু দফায় দুইশ টাকা নিয়েছে বলে ছেলেটি আমাকে জানিয়েছে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে মনিরুল ছেলেটিকে ডেকে একশত টাকা ফেরত দেয়।

জানা গেছে, মাকসুদুল মান্নান এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী বলেন, ছেলেটির কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি উপাচার্যকে জানানো হবে।

এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের নিম্নমান সহকারী মনিরুল ইসলাম বলেন, ছেলেটিই আমাকে চা খাওয়ার জন্য একশত টাকা হাতের মধ্যে জোর করে গুজে দেয়। আমি তার কাছে কোনো টাকা দাবি করিনি। এ অভিযোগ সত্য নই। ওই ছেলেকে দিয়ে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এর আগেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সনদপত্র প্রদানের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে গঠিত একটি তদন্ত কমিটির তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।