এসএমসি সভাপতিসহ চারজনকে বিবাদী করে থানায় এজাহার

মুজিবনগরের কেদারগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির অভিযোগ

 

মুজিবনগর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লক্ষাধিক টাকার ৩টি গাছ অবৈধভাবে মাত্র ১৫ হাজার টাকায় বিক্রির ঘটনায় ৪জনকে আসামি করে মুজিবনগর থানায় একটি এজাহার দাখিল করা হয়েছে। কেদারগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারা খাতুন বাদী হয়ে বিদ্যালয় এসএমসির সভাপতি মো. কুতুবউদ্দিন, সদস্য মো. নাসিরউদ্দিন, শিক্ষক-অভিভাবক কমিটির সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম ও উপজেলার মানিকনগর গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে কাঠব্যবসায়ী মো. কুদ্দুস আলীকে বিবাদী করে মুজিবনগর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন।

গত শনিবার মুজিবনগর থানায় দাখিতকৃত এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন- উল্লিখিত আসামিরা প্রতারক ব্যক্তি। তারা বিদ্যালয়ের নিজস্ব সম্পত্তিতে থাকা একটি শুকনো নিম, একটি ইপিল-ইপিল ও একটি শিশুগাছ যার আনুমানিক মূল্য এক লক্ষাধিক টাকা তা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই মাত্র ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। এতে স্কুলের চরমভাবে আর্থিক ক্ষতি করেছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন- তিনি জমিতে গিয়ে কিছু শুকনো ডাল কাটা জমিতে পড়ে থাকতে দেখেন এবং মরা শিশুগাছটির কিছু অংশ কাটা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি না হলে আসামিরা লক্ষাধিক টাকার গাছ নিয়ে যেতো। আসামিরা স্কুলের টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশে জালিয়াতির মাধ্যমে গাছ চুরি করে বিক্রি করেছে। তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছেন।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী আব্দুস ছালেক জানান, গত শনিবার অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে বাদী ও বিবাদী পক্ষের বিতর্কে প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে গাছ বিক্রি ও কাটার বিষয়ে এমএমসি কমিটির সভায় কি সিদ্ধান্ত হয়েছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের এসএমসির সিদ্ধান্ত দেখান। তাতে দেখা যায়, গত ১ আগস্ট সর্বশেষ এমএমসির সভায় সভাপতি কুতুবউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন না। তার অনুপস্থিতিতে সদস্য মো. নাসিরউদ্দিন দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়া অধিকাংশ সদস্য অনুপস্থিত থাকায় পরবর্তী এসএমসির সভায় আলোচ্য বিষয়গুলো আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা যায়। সেখানে ‘সেভ দ্যা চিলড্রেন খেলার সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে। এতে ৫ হাজার টাকা দেয়া লাগবে। এ টাকা জোগাড় করতে পরিত্যক্ত গাছগুলো বিক্রি করা যায় কি-না তা আগামী সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে’- কথাগুলো উল্লেখ রয়েছে।

উল্লেখ্য, সামাজিক বন বিভাগের অনুমতি এবং বিদ্যালয় এসএমসির সভা ও সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভাপতি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদ্যালয়ে নিজস্ব সম্পত্তিতে থাকা লক্ষাধিক টাকার ৩টি গাছ বিক্রি করে দেন। যা গত শুক্রবার স্কুল ছুটির দিনে কাটার সময় এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে কাঠব্যবসায়ী মো. কুদ্দুস আলী গাছ কাটা বন্ধ করে পালিয়ে যায়।