যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক জিল্লুর রহমান হাটবোয়ালিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শন করলেন

 

স্টাফ রিপোর্টার: যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক জিল্লুর রহমান হাটবোয়ালিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শন করেছন। পরিদর্শক মো. জিল্লুর রহমান বলেছেন, যে সকল শিক্ষার্থী কলেজে ৭৫ ভাগ কার্যদিবসে উপস্থিত না থাকবে তাদেরকে পাবলিক পরীক্ষায় ফরম পূরণের সুযোগ দেয়া হবে না। গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শনকালে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এ বছর বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী ইংরেজিতে ফেল করেছে। যা সত্যিকার অর্থেই হতাশাজনক। পরীক্ষায় ফেল ঠেকাতে টেস্ট পরীক্ষার আগে প্রিটেস্ট পরীক্ষা নিতে হবে। যারা ওই পরীক্ষায় পাস করতে পারবে না, তাদেরকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে না। বিষয়টি মাথায় রেখে এখন থেকে শিক্ষার্থীদেরকে নিয়মিত কলেজে উপস্থিতির পাশাপাশি ঠিকমতো পড়াশোনা করতে হবে। এছাড়া শিক্ষকদেরকেও দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে যত্নশীল হতে হবে। কোনো শিক্ষক যদি ক্লাসে না পড়িয়ে কোচিং বা প্রাইভেট বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুস সাত্তার পরিদর্শককে স্বাগত জানান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আশাবুল হক ঠাণ্ডু, হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলী ও সভাপতি জিনারুল ইসলাম বিশ্বাস এবং কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অধ্যক্ষ মো. আব্দুস সাত্তার জানান, ১৯২৫ সালে কোলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি কোলকাতা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ড. রাধা বিনোদ পাল বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৫ সালের ১ জুলাই বিদ্যালয়টিকে স্কুল অ্যান্ড কলেজে উন্নীত করা হয়।