অপহৃত শিশু উদ্ধারে পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টা কাম্য

 

চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের পলাশপাড়ার এক শিশু অপহৃত হয়েছে। অপহরণের পর মোবাইলফোনে শিশুর পিতার নিকট মুক্তিপণও দাবি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অপহৃত শিশুর পিতা রঙমিস্ত্রি। দরিদ্র। শিশুর সৎ মায়ের আচরণ নিয়েও স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহ ঘনীভূত হয়েছে। অথচ অপহৃত শিশুকে উদ্ধারে পুলিশের তেমন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কেন? অপহৃত শিশুর হতদরিদ্র পিতার প্রশ্ন, দরিদ্র বলেই কি আমার সন্তানকে উদ্ধারে পুলিশ গুরুত্ব দিচ্ছে না?

যার সংসার চলে টানাটানির মধ্যদিয়ে, তার সন্তানকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি অন্য রকম সন্দেহের কারণ বটে। তা ছাড়া শিশুকে অপহরণের পর যে সেলফোন নম্বর দিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে, তা আলমডাঙ্গা যাদবপুরের এক নারীর নামে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মুক্তিপণের টাকা দেয়ার জন্য যে বিকাশ নম্বর দেয়া হয়েছে তা সদর থানার অদূরবর্তীরই এক দোকানির বলে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত হয়েছে। অথচ কাউকেই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। দিনের পর দিন পেরিয়ে যাচ্ছে, অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করতে না পেরে দরিদ্র পিতা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। অপহৃত শিশুকে উদ্ধারে কালবিলম্ব বা গড়িমসির কারণে চরম খেসারত দিতে হতে পারে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

‌যার যে প্রশ্নই থাক, সন্দেহের তীর যার দিকেই যাক, অপহৃত শিশুকে উদ্ধারে পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। প্রযুক্তির যুগে সেলফোনের অবস্থান শনাক্ত যেমন অসাধ্য নয়, তেমনই পুলিশি আন্তরিকতা থাকলে অপহৃতকে উদ্ধার করাও সর্বক্ষেত্রে অসম্ভব নয়। অপহৃত শিশুকে পুলিশ দ্রুত উদ্ধারে সক্ষম হোক, অসহায় পিতার মাঝে ফিরে আসুক স্বস্তি, উন্মোচন হোক অপহরণ রহস্য। অপহরকসহ সংশ্লিষ্টদের ধরে আইনে সোপর্দ করে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব পুলিশেরই।

Leave a comment