দামুড়হুদায় বেশিরভাগ সবজির মূল্য বৃদ্ধি : বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
বখতিয়ার হোসেন বকুল: দামুড়হুদায় গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আলু, বেগুন, পটোল, ঢেঁড়স, পেঁপে, কচু, করলা, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ. রসুন, ওল, মিষ্টি কুমড়োসহ বেশিরভাগ সবজির মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে সবচেয়ে বেশি। কাঁচা মরিচের মূল্য বৃদ্ধির ফলে এলাকার ঝালচাষিরা রয়েছেন খোশ মেজাজে। তাদের মুখে দেখা দিয়েছে হাসির ঝিলিক। আর পার্শবর্তী দেশ ভারত থেকে প্রয়োজনমাফিক পেঁয়াজ না আসার কারণে কাঁচা মরিচের পর এবার পেঁয়াজও সেঞ্চুরি করেছে। এদিকে সবজির এ আকস্মিক মূল্য বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডের চা দোকানি আব্দুর রহমান মনা বলেন, গত কয়েক দিনের ব্যবধানে সবজির দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। ফলে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছে মহাবিপাকে। কিন্তু তরকারি ছাড়া তো ভাত খাওয়া যাবে না। তাই বেঁচে থাকার তাগিদে যতোটুকু না কিনলেই নয়, ঠিক ততোটুকুই নিতে হচ্ছে। গিন্নিরা ব্যাগ হাতে ধরিয়ে দিলেও বাজারে যেতে সাহসই হচ্ছে না।
দামুড়হুদা সদরের ঝালচাষি আব্দুর রশিদ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ঝালের আবাদ করে আসছি। এবার এলাকার বেশিরভাগ ঝাল ক্ষেতেই কমবেশি মোড়ক দেখা দিয়েছে। আর যাদের ভালো আছে তারাই দুটো পয়সার মুখ দেখতে পাচ্ছেন। ঝালচাষিদের পাশাপাশি এবার অন্যান্য সবজি চাষিরাও লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন।
দামুড়হুদা ট-বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক জানান, অনেকটা হঠাত করেই কয়েকটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। প্রতিকেজি আলু ২৪ টাকা, বেগুন ৪০, করলা ৬০, ওল ৩০, পেঁপে ২০, ঢেঁড়স ৩৫, রসুন (চায়না) ১৫০, (দেশি) ৮০, পেঁয়াজ ১০০, কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতিটি সবজিরই কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। গত মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা আড়ত থেকে কাঁচা মরিচ ১৩০ টাকা কেজি দরে কিনে আনতে হয়েছে। পেঁয়াজের কেজিও একশ টাকা। ট-বাজারের অপর কাঁচামাল ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, আকস্মিকভাবে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের তুলনায় গত কয়েক দিনে বেচাকেনাও কমে গেছে।