আলমডাঙ্গার নিউ লাইফ সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

২০ হাজার টাকার চুক্তিতে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে চাওয়া হয় ৩০ হাজার টাকা

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ক্লিনিক থেকে বাড়ি ফিরে আলমডাঙ্গা পারদুর্গাপুরের গৃহবধূ মরজিনা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। ভুল চিকিৎসার কারণে তার মৃত্যু হয় বলে স্বজনদের দাবি। দীর্ঘ ১৫ দিন পর আলমডাঙ্গার নিউ লাইফ সার্জিক্যাল ক্লিনিক থেকে রিলিজ নিয়ে বাড়ি ফেরার ৩ দিনের মাথায় গৃহবধূ মরজিনা খাতুন মারা যান।

জানা গেছে, গত ৯ আগস্ট আলমডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়নের পারদুর্গাপুর গ্রামের হায়দার আলির স্ত্রী মরজিনা খাতুনের (৪৫) পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হয়। সাথে শুরু হয় বমি। এরই এক পর্যায়ে রাত ১২টার দিকে তাকে আলমডাঙ্গা নিউ সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। রাতেই আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়। জানানো হয় ‘অ্যাপেন্ডি সাইটিসের নাড়ি ফেটে গেছে। জরুরিভাবে অপারেশন দরকার। বাইরে থেকে ডাক্তার নিয়ে এসে অপারেশন করাতে হবে। ২০ হাজার টাকা খরচ হবে।’ চুক্তি মোতাবেক পরদিন রাতে মরজিনাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তার বিডি দাস অপারেশনের দায়িত্ব নেন। এক পর্যায়ে অপারেশন থিয়েটার থেকে ক্লিনিক মালিক বের হয়ে রোগীর স্বজনদেরকে জানান, ‘রোগীর পেটের ভেতর নাড়ি বাস্ট হয়ে গেছে। আরও ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে। সে প্রস্তাবে রাজি হলে রোগীর অপারেশন সম্পন্ন করা হয়। এরপর দীর্ঘ ১৫ দিন পর ৩০ হাজারের মধ্যে ২২ হাজার টাকা পরিশোধ করে রোগীকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। দু দিন পর গতকাল সকালে মরজিনার মৃত্যু হয়। রোগীর স্বামী হায়দার আলী তার স্ত্রীর মৃত্যু ভুল চিকিৎসার কারণে হয়েছে বলে দাবি করেছেন।

এদিকে এ সম্পর্কে ক্লিনিক মালিক মঞ্জু মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, মুমূর্ষু অবস্থায় মরজিনাকে ক্লিনিকে নিয়ে আনা হয়। এ সময় তার স্বজনদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু তারা দারিদ্র্যের অজুহাত দেখিয়ে যাননি। পরে আমরা তার অপারেশন করি।