আলমডাঙ্গার ইউনাইটেড ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার ইউনাইটেড ক্লিনিকে ভর্তি হওয়া এক মহিলাকে গত ৫ দিন ধরে দফায় দফায় অ্যাবর্শন করার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার কথা বলে ইউনাইটেড প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে রোগী বের করে স্বজনরা আলমডাঙ্গার অন্য আরেকটি ক্লিনিকে ভর্তি করে অপারেশন করিয়েছে। মহিলা রোগীর পেট থেকে শিশুর মাথার খুলির অংশ বিশেষ, শরীরের পচা-গলা বিভিন্ন অংশ ও ক্যাথিটার বেলুন বের করা হয়েছে বলে অপারেশনকারী সার্জন জানিয়েছেন। এখনও ওই রোগী শঙ্কামুক্ত নন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার কেশবপুর গ্রামের অটোবাইক চালক শামসুল ইসলামের স্ত্রী মিতালী খাতুন ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গত বুধবার ১৯ আগস্ট তিনি হারদী হাসপাতালে যান গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে। সে সময় হারদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার ডাক্তার নাজমুল হক মিতালী খাতুনকে তার আলমডাঙ্গা বাজারস্থ ইউনাইটেড প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে ভর্তি করেন। প্রথমে একবার আল্ট্রাসনো করে পরদিন অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবার হারদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে একজন নার্স ডেকে নিয়ে অ্যাবর্শন করানোর চেষ্টা করানো হয়। বলেন ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাবর্শন হয়ে যাবে। সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এ সময় ডাক্তার নাজমুল হক রোগীকে আবার অপারেশন করতে হবে বলে জানান। তাতে সাড়া দেননি রোগীপক্ষ। সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির কথা বলে রোগীকে ইউনাইটেড প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে রিলিজ করে শহরের কলেজপাড়ার শেফা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে ওই রাতেই রোগীকে অপারেশন করা হয়। অপারেশন করেন সার্জন ডাক্তার এমএ জামান। অপারেশনের সময় রোগীর পেট থেকে শিশুর মাথার খুলির অংশবিশেষ, শরীরের পচা-গলা বিভিন্ন অংশ ও ক্যাথিটার বেলুন বের করা হয়েছে বলে অপারেশনকারী সার্জন জানিয়েছেন।

এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে ইউনাইটেড ক্লিনিকের মালিক হারদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার নাজমুল হক বলেন, তার হাসপাতালে ওই রোগী ভর্তিই হননি। তিনি তার কোন চিকিৎসা করেননি। তার প্রতিপক্ষ সাংবাদিকদের ব্যবহার করে মিথ্যা অভিযোগ খাড়া করছেন।

Leave a comment