স্টাফ রিপোর্টার: পাচার করা সোনার বার গায়েব? নাকি ডাকাতি? স্বচ্ছ জবাব মিলছে না। কেউ কেউ বলেছে, ঘটনার আড়ালে ব্যবসায়ী লেনদেন নিয়ে কারচুপি। পুলিশের তরফে প্রথমে এ রকম মন্তব্য করা হলেও পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর গ্রামে গত শুক্রবার বিকেল থেকে খবর রটে সোনার চালান গায়েব করা হয়েছে। কার সোনা, কে গায়েব করেছে? এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গেলে নানা জনে নানা তথ্য দেয়। এক পর্যায়ে জানা যায়, তোফাজ্জেল হোসেনের বাড়িতে ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে মর্মে আসমানখালী পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করা হয়েছে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানায়, ডাকাতির মতো কোনো ঘটনা নয়। ব্যবসায়ীক লেনদেনের মতো কিছু আছে বলে মনে হচ্ছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার খাদিমপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার ইবাদত মোল্লার ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন আলমডাঙ্গা থানায় অভিযোগ করেন একই গ্রামের আহম্মদ হোসেনের ছেলে সুরুজ, মহের আলীর ছেলে মাসুদ, আলফা উদ্দিনের ছেলে নঈমদ্দিন, লন্টুর ছেলে কুদ্দুস ও জিনারুল আমার বাড়িতে জোরপূর্বক ঢুকে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে সোকেসের ড্রয়ার ভেঙে নগদ ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানা তদন্তের জন্য আসমানখালী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রবিউল ইসলামকে নির্দেশ দেয়। এদিকে গতকাল তোফাজ্জল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পূর্বে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওসব পারিবারিক ঘটনা।
অপরদিকে জোর গুঞ্জন রয়েছে, সুরুজ ও আলমসাধুচালক মাসুদসহ বেশ কয়েকজন সোনা বহন করে তোফাজ্জেল হোসেনের নিকট পৌছে দেয়। সেই সোনা গায়েব করতেই ডাকাতির অভিযোগ তোলা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।