আলমডাঙ্গার খাসকররায় ভুয়া পশুডাক্তার রবিউলের দৌরাত্ম্য : অপচিকিৎসা দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার অভিযানের খবর পেয়ে খাসকররা এলাকায় গেড়ে বসা ভুয়া পশু ডাক্তার রবিউল হক কয়েকদিন আত্মগোপনের পর আবারও মাঠে নেমেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পার্শ্ববর্তী হরিণাকুণ্ডু উপজেলার নারায়ণকান্দি গ্রামের রবিউল হকের পশু চিকিৎসায় কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি না থাকলেও তিনি খাসকররা এলাকায় পশু ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দিয়ে মাত্র ৩০ টাকার বীজ গাভীর দেহে স্থাপন করে ৫ শ থেকে ৬ শ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এলাকাবাসীর এমন অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ওই অভিযান পরিচালনা করেন।

জানা গেছে, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার নারায়ণকান্দি গ্রামের রবিউল হক দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অবৈধভাবে আলমডাঙ্গার খাসকররা এলাকায় গাভীর দেহে প্রজনন বীজ স্থাপন করে আসছেন। তিনি নিজেকে পশু ডাক্তার হিসেবে দাবি করে প্রতিটি গাভীর শরীরে এ বীজ প্রতিস্থাপন বাবদ ৫ শ থেকে ৬ শ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। খাসকররা গ্রামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তিনি এ অপকর্ম করে চলেছেন বলে অভিযোগকারীরা উল্লেখ করেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এইচএম শামীমুজ্জামান সম্প্রতি খাসকররা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন ভুয়া পশুডাক্তার রবিউল হককে আটকের জন্য। অভিযানের সংবাদ পেয়ে রবিউল হক মোবাইলফোন বন্ধ করে আত্মগোপন করেন। বেশ কিছু দিন আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। সম্প্রতি আবার খাসকররা এলাকায় তিনি কাজ করছেন বলে গ্রামের অনেকে জানিয়েছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ভুয়া পশুচিকিৎসক রবিউল হককে আটক করে আইনের হাতে তুলে দিতে কোনো কার্পণ্য করবেন না বলে জানিয়েছেন।