৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেশব্যাপি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি

 

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি’র ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপি কর্মসূচি পালন করবে দলটি। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে আগামী ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি ও এর অঙ্গ, সহযোগী এবং সমর্থক সংগঠনগুলো সুবিধা অনুযায়ী নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করবে। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি’র সম্পাদকমণ্ডলি-অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের এক সমন্বয়সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন। সভায় ১ সেপ্টেম্বর দলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন ছাড়াও ১১ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তির ৮ম বার্ষিকী ও ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৮ম কারামুক্তি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। দলটির সহদফতর সম্পাদক মো. আব্দুল লতিফ জনি স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১ সেপ্টেম্বর দলের নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল ৬টায় দলীয় পতাকা উত্তোলন। একই দিন সকাল ১০টায় বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ শেরেবাংলা নগরস্থ মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ। বিকেল ৩টায় কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট কাউন্সিল হলে বিএনপি’র উদ্যোগে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া দেশব্যাপি বিএনপি’র সকল ইউনিটে সকাল ৬টায় দলীয় পতাকা উত্তোলন করবে দলটি। স্থানীয় সুবিধানুযায়ী দলের জেলা ও মহানগরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ইউনিটগুলো দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করবে। এছাড়া বিএনপি’র উদ্যোগে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টায় দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৮ম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন কাউন্সিলহলে আলোচনাসভা এবং আগামী ১২ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টায় ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স অব বাংলাদেশ এর মিলনায়তনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তির ৮ম বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। সমন্বয় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-  কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুব বিষয়ক সম্পাদক ও যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশীদ, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক কবির মুরাদ, উপকোষাধ্যক্ষ এসএম ফজলুল হক, ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আবদুস সালাম আজাদ, সিলেট বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহদফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সহগ্রাম বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিশির, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলাল আহমেদ, তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম, মনির খান, শাহ মো. নেছারুল হক, রফিকুল ইসলাম মাহতাব, ছাত্রদলের সহসভাপতি আজমল হোসেন পাইলট, দফতর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, শ্রমিক দলের যুগ্মসম্পাদক নুরুল্লা বাহার, যুগ্মসাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা দল সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, ওলাম দল সভাপতি হাফেজ আবদুল মালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সেলিম রেজা, তাঁতি দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী  দলের সাধারণ সম্পাদক মিলন মেহেদী ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আওয়াল খান।