জীবননগর ব্যুরো/আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামে সাপের উৎপাত চরম আকার ধারণ করেছে। যেখানে সেখানে দেখা মিলছে বিষাক্ত সাপের। বিশেষ করে রাতে চলাফেরাকালে একটু অসাবধান হলে হতে হচ্ছে সর্প দংশনের শিকার। ফলে সর্প দংশনের ভয়ে তটস্থ হয়ে পড়েছে গ্রামবাসী। এ অবস্থায় সাপ তাড়াতে তারা দ্বারস্থ হচ্ছে ওঝা-কবিরাজের। গত ২০ দিনে এ গ্রামে সর্প দংশনে ১ কিশোরের মৃত্যুসহ ১৫ জন নারী-পুরুষ আহত হয়ে চিকিৎসাসেবা নিয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, গত শনিবার দিনগত রাত ৯টার দিকে গ্রামের জনি, ফজলুর রহমান ফজু ও সেলিম উদ্দিন সর্প দংশনের শিকার হয়। তাদের উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসকের নিকট নেয়া হয়। প্রতিদিন গ্রামের বাসা-বাড়ির আঙিনা, পরিত্যক্ত ঘর, ইট ও বিচালি গাদা এবং ঝোঁপ-ঝাঁড়ের পাশে বিষধর সাপ ও সাপের বাচ্চা দেখা যাচ্ছে। ফারুক হোসেনের ছেলে মেধাবী স্কুলছাত্র সিজার (১৪) রাতে ঘুমান্ত অবস্থায় সর্প দংশনে মারা যায়। এছাড়া সাবেক ইউপি সদস্য রবিউল ইসলামের ছেলে মিন্টু (৩২), মৃত রহিম বক্সের ছেলে রবজেল হোসেন (৫৫), রেজাউল ইসলামের ছেলে আলামিন (১২), আব্দুল হান্নানের ছেলে শিল্টু (৩৫), মৃত নজির আহম্মদের ছেলে আকালে মন্ডল (৫৫), মৃত আফছার আলীর ছেলে জাকার আলী (৪৮), রমজান আলীর ছেলে আব্দুল মজিদ (৩৫), মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে নজির আহম্মদ (৬৫), আব্দুর রহমান ছোটর মেয়ে লাকী খাতুন (১৪), মৃত দীন মোহাম্মদ মাস্টারের ছেলে মোকাদ্দেস আলী (৪৮) ও প্রফেসর আব্দুল ওয়াদুদুর রহমানের মেয়ে জেসমিন আক্তারকে (২৪) সাপে দংশন করে। তাদেরকে চিকিৎসা দিয়ে বাঁচিয়ে তোলা হয়।