স্বেচ্ছাসেবক লীগের দু নেতা আটক : গুমের প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় ধর্মঘট

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান লাবু ও সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজকে আটক-গুমের প্রতিবাদে ও আইনের হাতে সোপর্দ করার দাবিতে কুষ্টিয়ায় ব্যবসায়ীরা দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ধর্মঘট পালন করেছেন। গতকাল শনিবার ব্যবসায়ীরা শহরের এনএস রোড সংলগ্ন পাঁচ শতাধিক দোকানপাট বন্ধ রাখেন।

সবুজের পারিবারিক সূত্র জানায়, গাজীপুর জেলার মাওনা এলাকার ড্রিম স্কয়ার রিসোর্ট থেকে গত শুক্রবার ভোরে ৱ্যাব সদস্যরা কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান লাবু ও সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজকে গ্রেফতার করে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু ঘটনার পর থেকে ৱ্যাব সদস্যরা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লাবু ও সবুজকে গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন। এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে দোকানপাট খোলার উদ্যোগ নেয়া হলেও দুপুর পর্যন্ত অধিকাংশ দোকান বন্ধ ছিলো। ব্যবসায়ীরা জানান, শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজ কুষ্টিয়া শহরের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং কুষ্টিয়া দোকান মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা এবং তিনি কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র সহসভাপতি। এদিকে উদ্বিগ্ন সবুজের পরিবারের পক্ষ থেকে শুক্রবার কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয় এবং ওই দু নেতাকে ৱ্যাব গ্রেফতার করেছে বলে জানানো হয়।  কিন্তু ৱ্যাব গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করায় ওই নেতার পরিবারবর্গ চরম উত্কণ্ঠায় পড়েছে।

কুষ্টিয়া ৱ্যাব-১২ ইউনিটের কমান্ডার মোসাদ্দেক ইবনে মুজিব জানান, সবুজ ও লাবু গ্রেফতারের বিষয়টি এখনো তার জানা নেই। সবুজের পিতা কাইজার হোসেন জানান, লাবু এবং সবুজের গ্রেফতারের বিষয়টি ৱ্যাব সদস্যরা এখনো অস্বীকার করছে। সবুজের সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ করতে না পেরে পরিবারের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়া মডেল থানায় জিডি করতে গেলে থানা জিডি গ্রহণ করেনি।

উল্লেখ্য যে, গত ১৫ আগস্ট কুষ্টিয়া শহরে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি শেষে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা মোমিনুর রহমান গ্রুপের সাথে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে সবুজ নামে যুবলীগের এক কর্মী নিহত হন। এ ঘটনার পর নিহত সবুজের ভাই আরিফ বাদী হয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজ ও লাবুকে আসামি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যামামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পর থেকে সবুজ, লাবু ও বহিষ্কৃত নেতা মোমিজ আত্মগোপন করেন।