মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইরানি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা ‘মুহাম্মদ: দ্য মেসেঞ্জার অফ গড’ অবশেষে মুক্তির আলো দেখতে যাচ্ছে। তবে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না মাজিদ মাজিদি পরিচালিত সিনেমাটির। পুরো সিনেমায় হযরত মুহাম্মদ (স:)- এর মুখ দেখানো না হলেও একটি দৃশ্যে পায়ের কাছ থেকে ক্যামেরা ধরা হয়েছে, যেখানে কিশোর মুহাম্মদ (স:)- এর চেহারার অবয়ব কিছুটা দেখা যাচ্ছে। আর তাতেই বেধেছে বিপত্তি। ইসলাম ধর্মে মহানবী (স:)-এর কোনো ধরনের শারীরিক চিত্রায়ন নিষিদ্ধ। বিশেষ করে সুন্নি মুসলমানরা তা কঠোরভাবে মানেন। শতকরা ৯৫ ভাগ শিয়া মুসলমানদের দেশ ইরানে প্রথমবারের মতো হযরত মুহাম্মাদ (স:) কে চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে চিলড্রেন অফ হেভেন খ্যাত পরিচালক মাজিদ মাজিদি চলচ্চিত্রে মহানবী (স:)-এর মুখ দেখাননি। তিন পর্বের সিনেমাটি নির্মাণের পরিকল্পনা মাজিদি হাতে নেন ২০০৭ সালে। প্রথম পর্ব নির্মাণ করতেই তার খরচ হয়েছে ৩ কোটি ডলার। সিনেমাটি নির্মাণে ইরান সরকার সমর্থন দিয়েছে। একে ইরানি সিনেমার জন্য দৃষ্টান্তমূলক বলে অভিহিত করেছে ইরানের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ২০০৬ সালে ডেনমার্কে হযরত মুহাম্মদ (স:) কে নিয়ে প্রকাশিত ব্যাঙ্গচিত্র নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন একটি ড্যানিশ চলচ্চিত্র উৎসব বর্জন করেছিলেন মাজিদি। এই নির্মাতার মতে, সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বকে একত্রিত করাই তার উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, আমরা আমাদের নবীকে কিভাবে পরিচয় করিয়ে দেবো?…অনেকে তাদের বক্তব্য চলচ্চিত্র এবং ছবির মাধ্যমে তুলে ধরেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইরানের ফজর চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটি মুক্তি দেয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি মুহাম্মদ: দ্য মেসেঞ্জার অফ গড।