বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের হরিশপুর উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম রাখা নিয়ে গ্রামের সাইদুর ও সেলিম পক্ষের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। মসজিদের ইমাম না থাকায় মুসল্লিদের ওয়াক্তীয় নামাজ আদায় করতে পোয়াতে হচ্ছে ভোগান্তি। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে থাকায় বিরাজ করছে উত্তেজনা। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন নিয়েছে উদ্যোগ।
গ্রামবাসীর অভিযোগে জানা যায়, গত ৭-৮ বছর ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমামতি করে আসছিলেন জনৈক আব্দুল হাকিম। হরিশপুর গ্রামের আমির আলীর ছেলে সাইদুর, বিসারতের ছেলে মতি, মোতালেবের ছেলে আব্দুল্লা, সোবারেকের ছেলে খাইরুল, খবির মেম্বারের ছেলে শরিফ ও আসাদুলের ছেলে তুষার ইমাম আ. হাকিমকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে গত ঈদুল ফিতরের নামাজের পর তাকে বিদায় করে দেন। বিষয়টি ভালোভাবে নেয় না গ্রামের অধিকাংশ মুসল্লিসহ আহাদ আলীর ছেলে সেলিম পক্ষের লোকজন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চলতে থাকে কথা চালাচালি। এরই মধ্যে সাইদুর গ্রামের অধিকাংশ লোকের মতামতকে উপেক্ষা করে একজন ইমাম নিয়ে হাজির করেন মসজিদে। সাইদুরের এহেন সিদ্ধান্তে মুসল্লিরা মসজিদে ওয়াক্তীয় নামাজ পড়তে অনীহা প্রকাশ করেন। পরিস্থিতি বেসামাল দেখে ইমাম গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে চলে যান। পরের দিন শুক্রবার ইমাম ছাড়াই জুমার নামাজ আদায় করেন ১০-১২ জন মুসল্লি। এ নিয়ে গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে উভয় পক্ষ মসজিদের সামনে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের এসআই শফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সাধারণ মুসল্লিরা বলেন, যারা ইমাম নিয়ে পানি ঘোলা করছেন, তারা ঠিকমত মসজিদেই আসেন না। বিষয়টি সমাধানের দাবি জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাংসদ সদস্যের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন গ্রামের সাধারণ মুসল্লিরা।