গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলা ধানখোলা গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দু পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত আটজন আহত হয়েছে। গতকাল সকালে গ্রামে সংঘটিত সংঘর্ষে আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এতে দ্বিতীয় দফায় জড়িয়ে পড়েন সংঘর্ষে।
আহতদের মধ্যে ফজলুল হকের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন (৫৮), দ্বিতীয় স্ত্রী আনজিরা খাতুন (৫৫), তৃতীয় স্ত্রী রশিদা খাতুন (৫২), মেয়ে রুশিয়া খাতুন, (৩৪), মুস্তারা খাতুন (৩২), মিজানুর রহমানের স্ত্রী পারভীনা খাতুন (৩০) ও আশাদুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৩২)। অপরপক্ষের আজগর আলী ওরফে বুড়ো (৫৮) এবং তার ছেলে মাসুম হোসেনকে (২৮) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত মনোয়ারা খাতুন ও মুস্তারা খাতুন জানান, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৩ একর জমি নিয়ে দেবর রেজাউল হকের সাথে দীর্ঘদিন যাবত মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। গতকাল সকালে জমির মামলা নিয়ে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে রেজাউল হকের নেতৃত্বে তার ছেলে ঝন্টু হোসেন, মন্টু হোসেন, লাল্টু ও মিন্টু, আজগর আলী ওরফে বুড়ো মিলে তাদের ওপর হামলা চালায়।
এদিকে আজগর আলী ও মাসুম হোসেন জানান, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি দীর্ঘদিন যাবত ভাই ফজলুল হক ভোগ দখল করে আসছে। এ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলার পর সম্প্রতি আদালত থেকে আমরা রায় পেয়েছি। জমি উদ্ধারে গেলে প্রতিপক্ষরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আজগর আলী ওরফে বুড়ো আহত হলে তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ সময় তাদের ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষ ফজলুল হকের লোকজন। ফজলুল হকের আত্মীয় গোপালনগর গ্রামের ভোলার নেতৃত্বে হাসপাতাল চত্বরে মাসুম হোসেন ও আজগর আলীর ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে। গতকালই আহতরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। তবে দু পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা থামেনি। যেকোনো সময় আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন তারা।