আলমডাঙ্গায় প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার নাটক সাজানোর অভিযোগ

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা শহরে এক মালয়েশিয়া প্রবাসীর ২য় স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘরের দরজা-জানালা আটকে আত্মহত্যার নাটক সাজানোর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রাতে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রবাসীর স্ত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করে।

জানা গেছে, স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আলমডাঙ্গা শহরের বাবুপাড়ার মালয়েশিয়া প্রবাসী আসাদ গত ৪ মাস আগে কুষ্টিয়া কুমারখালীর তালাকপ্রাপ্তা তানিয়া খাতুনকে (২২) বিয়ে করে। আসাদ বর্তমানে মালয়েশিয়া প্রবাসী। গত ১০/১২ দিন আগে প্রবাসীর স্ত্রী আলমডাঙ্গা শহরের গোবিন্দপুরের মজিবুল হুজুরের বাড়ির ২য় তলার একটি ঘর ভাড়া নেয়। গতকাল বিকেলে তানিয়া শহরের ভেতর থেকে ঘরে ফিরে দরজা আটকে দেয়। কিছুক্ষণ পরে বাড়ির মালিকের স্ত্রী তাকে ডাকতে গিয়ে ঘর ভেতর থেকেও আটকা দেখে পেয়ে অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা খুলেনি সে। এ সময় আত্মহত্যা করেছে এমন আশঙ্কায় বাড়ি মালিক রাতে থানা পুলিশকে অবহিত করে। রাত ৯টার দিকে এসআই টিপু ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। সে সময় তানিয়া খাতুনকে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘরের এক পাশে ফ্লোরে আসন বিছিয়ে মাথার নিচে কুশন বালিশ রেখে ঘুমাতে দেখতে পায়। তার গলায় একটি সিনথেটিক কাপড়ের ওড়নার অংশ বিশেষ পেচানো অবস্থায় গিট মারা ছিলো। ঘরের অন্যপাশে অবস্থিত খাটের ওপর লাগানো সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়নার বাকি অংশ গিট মারা অবস্থায় ঝুলছিলো। যাতে বোঝা যায় ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলো, কিন্তু ওড়না ছিঁড়ে সে ফ্লোরে পড়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শিরা এ ঘটনায় প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের দাবি ওড়না ছিঁড়ে পড়ে গেলে খাটের ওপর পড়বে। তা না পড়ে ঘরের অপর প্রান্তের মেঝেতে পড়লো কীভাবে? কীভাবে তার মাথার নিচে কুশন বালিশ এলো, কীভাবেই বা তিনি দিব্যি পরিপাটি আসনের ওপর পড়লেন? তাছাড়া ঝুলতে থাকা ফ্যানের সাথে গিট দেয়া ওড়নার অংশ বিশেষে ছিড়ে যাওয়ার কোনো প্রমাণ নেয়। এমনকি উদ্ধারকারী পুলিশও জানিয়েছেন, তানিয়ার গলায়ও উল্লেখযোগ্য দাগ নেই। এসব কারণে এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীদের বদ্ধমূল ধারনা যে, প্রবাসীর স্ত্রী আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। তবে কেন এ নাটক সাজিয়েছে তা কেউ নির্দিস্ট করে বলতে পারেনি। গতরাতে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে শহরের কনা নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত ডাক্তার জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খাওয়ার কারণে এ দুরবস্থা।

Leave a comment