অবশেষে বিয়ে করেই ছাড়লেন প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থানকারী প্রেমিকা রুনা

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা আনন্দধানে প্রেমিক মিঠুনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে ৪ দিন ধরে অবস্থানকারী প্রেমিকা রুনা অবশেষে বিয়ে করেই ছাড়লেন। ৪ দিন পালিয়ে থেকেও অবশেষে মঙ্গলবার রাতে বাধ্য হয়ে প্রেমিকা রুনাকে নিয়ে বিয়ে পিঁড়িতে বসে প্রেমিক মিঠুন।

জানা গেছে, গত ৪ দিন ধরে বিয়ের দাবিতে আলমডাঙ্গা আনন্দধামের প্রেমিক মিঠুনের বাড়িতে ওঠে তার প্রেমিকা। কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে ডিগ্রি ২য় বর্ষের ছাত্রী রুনা খাতুন। তার সাথে আত্মীয়তার সূত্রধরে আলমডাঙ্গা পৌর আনন্দধাম এলাকার রহমানের ছেলে মিঠুনের সাথে প্রেমসম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের প্রেমসম্পর্ক প্রায় দু বছর ধরে চলে আসছিলো। দু বছর ধরে চলে আসা প্রেম বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হতে শনিবার পরিবারের লোকজনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রেমিকা রুনা পালিয়ে প্রেমিক মিঠুনের বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রেমিক মিঠুনের পরিবার প্রেমিকা রুনাকে তার পিতার বাড়িতে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেন। রুনা বলেন, প্রায় দু বছরে মিঠুন একাধিকবার আমার দেহভোগ করেছে। কয়েক মাস ধরে আমি মিঠুনকে বিয়ের কথা বললে সে আমাকে এড়িয়ে চলে। তাই বাধ্য হয়ে আমি বিয়ের দাবিতে মিঠুনের বাড়িতে আসি। মিঠুন আমার বাড়ির লোককে জানিয়ে বিয়ে করবে বলে আমাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু এরই মধ্যেই মিঠুন আমাকে বিয়ে করবে না বলে বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকায় চলে যায়। মিঠুনের কাছে ফোন করলে সে ফোন ধরে না। এদিকে রুনার পরিবারও তাকে আর ফিরিয়ে না নেয়ার শর্তে অটল থাকে। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ প্রেমিক-প্রেমিকার উপযুক্ত বয়স হওয়ায় তাদের বিয়ে দিতে বলে। অবশেষে গত মঙ্গলবার রাতে মিঠুনের পরিবার বাধ্য হয়ে পলাতক মিঠুনকে বাড়ি ফিরিয়ে মিঠুন ও রুনাকে বিয়ে দেয়।

Leave a comment