দামুড়হুদা রঘুনাথপুরের দলিল লেখক লিটনের বিরুদ্ধে দলিল জালিয়াতির অভিযোগ : শাস্তির দাবি

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে বিক্রিত একাধিক জমির দলিল জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। একজন বিধবার সাথে এ ধরনের প্রতারণার ঘটনা জানাজানি হলে ফুঁসে উঠে এলাকাবাসী। ওই দলিল লেখকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানায় তারা।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের রঘুনাথপুরের মৃত আবু বকরের ছেলে দামুড়হুদা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান লিটন ৫ মাস আগে একই গ্রামের দরিদ্র বিধবা শরীফা বেগমের কাছে নিজ নামীয় ৩ কাঠা জমি দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করেন। হিসেব অনুযায়ী ওই ৩ কাঠা জমির রেজিস্ট্রি মূল্য হয় ২২ হাজার টাকা। কিন্তু দলিল লেখক লিটন, দেড় লাখ টাকার একটি দলিল লিখে ওই বিধবার কাছ থেকে রেজিস্ট্রি মূল্য বাবদ ২২ হাজার টাকা নেয়। পরবর্তীতে জমি রেজিস্ট্রি করার সময় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি দলিল তৈরী করে এবং ৭ হাজার টাকা খরচ করে তা সাবরেজিস্ট্রারের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করে। একইভাবে গত ২০ দিন আগে একই গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে নাজমুল ও তার স্ত্রী সেলিনা খাতুনের নিকট মোট ৩ কাঠা জমি দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে এবং একই কায়দায় ওই দলিলটিও ৫০ হাজার টাকার দলিল করে মাত্র ৭ হাজার টাকা খরচ করে রেজিস্ট্রি করে। বিষয়টি জানাজানি হলে দলিল লেখক লিটন গত সোমবার রঘুনাথপুরের দরিদ্র বিধবা শরীফা বেগমের বাড়িতে যায় এবং জোর করে ওই জমির দলিল নিয়ে ছিড়ে ফেলে। এ ব্যাপারে বিধবা শরীফা বেগম দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বলেন, লিটন যে কাজটি করেছে তা এক ধরনের প্রতারণা। সে ওই দুই দলিলে সরকারের প্রায় ৩০ হাজার টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। সে ইতঃপূর্বেও প্রতারণা করে বেশ কয়েকটি দলিল করেছে। এ ঘটনায় তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।