দর্শনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্মরণে আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণ

নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে

 

হারুন রাজু/হানিফ মণ্ড: ‘বিপ্লব স্পন্দিত বুকে মনে হয় আমিই মুজিব’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর প্রবন্ধ রচনা ও স্বাধীনতা এবং শেখ মুজিব ভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা-২ নির্বাচনী এলাকার স্কুল-কলেজ ও মাদরাসাসহ ৮০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগরের নিজ আয়োজনে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী। ২৭০ জন বিজয়ীসহ সকলকে পুরস্কৃত করা হয়।

গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দর্শনা অডিটোরিয়াম কমিউনিটি সেন্টার চত্বরে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য অনুষ্ঠানের আয়োজক হাজি আলী আজগার টগর এমপি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ। তিনি বলেন, স্কুলজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আ.লীগকে ভালোবাসি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে ১৯৭১ সালে বীর বাঙালি স্বাধীনতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। ৯ মাস আমরণ লড়াইয়ের মধ্যদিয়ে পেয়েছিলাম স্বাধীনতা। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীরা আজো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃতি করার পাঁয়তারায় মেতে রয়েছে তারা। কিন্তু এ দেশের মানুষ তাদের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে রয়েছে সোচ্চার। বঙ্গবন্ধুর জীবনে রয়েছে স্মরণীয় ও বর্ণাঢ্য ইতিহাস। সে সঠিক ইতিহাস আজকের প্রজন্মকে জানাতে হবে। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে এ ধরনের প্রতিযোগিতার বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানের আয়োজক আলী আজগার টগর এমপি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের রুপকার, বাঙালি জাতির প্রথিকৃত, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যে কুচক্রিমহল সপরিবারে হত্যা করেছিলো বাংলার মানুষ ওই নরপশুদের ধিক্কার দেবে অনন্তকাল। বঙ্গবন্ধুর অসীম সাহস, অরিন্দম দৃঢ়তা, আপসহীন নেতৃত্ব মুক্তির পথ দেখিয়েছিলো। দিয়ে ছিলেন স্বাধীনতার ডাক। তার আহ্বানে সাড়া দিয়েছিলো এ দেশের আপামর জনতা। জন্ম হয়েছিলো স্বাধীন বাংলাদেশের। বাংলার সেই মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে খুন করে গোটা জাতিকে ভাসিয়েছিলো শোকের সাগরে। তাই আসুন এ মহাশোককে মহাশক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সিঁড়ি বেয়ে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি। ১৫ আগস্ট আত্মশক্তির প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্টিত হোক। আজকের প্রজন্মের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর বই। এ বই পড়ে তারা বঙ্গবন্ধুর জীবন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা-৬ বর্ডার গার্ডের পরিচালক লে. কর্নেল মনিরুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শাসক। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন নিরক্ষর মুক্ত একটি সমৃদ্ধশীল সোনার বাংলাদেশের। তারই আহ্বানে আমরা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পেয়েছিলাম স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশ। তোমরা যারা শিক্ষা ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছো তোমরা আমাদের আশা তোমরাই আমাদের ভরসা। তোমাদের কৃতিত্ব ও মেধার আলোয় আলোকিত করবে দেশ, জাতি তথা বিশ্বকে। বিশেষ অতিথি ছিলেন- দর্শনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শ্যামল কুমার সাহা, জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা আ. লতিফ অমল, দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান, উপজেলা আ.লীগের যুগ্মসম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম, দর্শনা পৌর আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম। আ.লীগ নেতা গোলাম ফারুক আরিফের উপস্থাপনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, আ.লীগ নেতা আ. মালেক মোল্লা, শুকুর আলী, জাহাঙ্গীর আলম, আ. হান্নান, খলিলুর রহমান ভুট্টো, আ. মোমিন মাস্টার, বরকত আলী, মুনতাজ আলী, সোহরাব হোসেন, আলী মুনসুর বাবু, আ. করিম, অ্যাড. রেজাউল ইসলাম, যুবলীগ নেতা ইউসুফ আলী, আজিজুর রহমান বাবু, শেখ আসলাম আলী তোতা, ইকবাল হোসেন, মামুন শাহ, হবা জোয়ার্দ্দার, অহিদুল ইসলাম, সাজাহান মোল্লা, সোলাইমান কবির, এনামুল করিম ইনু শাহ, ফয়সাল, আব্দুস সালাম ভুট্টো, রেজাউল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফ হোসেন দুদু, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, আ. সালাম ঈশা, সাজিদুল করিম রিংকু, রফিকুল ইসলাম ববি, মামুন আহম্মেদ, নাহিদ পারভেজ, তোফাজ্জেল হোসেন তাপু, আলামিন, লোমান, রবিউল, শফি, মাসুম প্রমুখ। শেষে চুয়াডাঙ্গা-২ নির্বাচনী এলাকার ৮০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনীমূলক বই দেয়া হয়।