স্টাফ রিপোর্টার: নিখোঁজের ১ মাস ৭ দিন পরও উদ্ধার হয়নি গৃহকর্মী তন্বী। তার ভাগ্যে কী ঘটেছে কেউ জানে না। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হুদাবাকড়ি গ্রামের মিরাজ শেখের মেয়ে তন্বী (১৩)। গত ৬ জুলাই ঢাকার পল্লবী এলাকার একটি বাসা থেকে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় তন্বীর বাবা মিরাজ শেখ রূপনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।
তন্বীর পরিবার থেকে জানা যায়, অভার অনটনের সংসারে একটু সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার জন্য সাড়ে ৩ বছর আগে স্বামী মিরাজ শেখের অজান্তেই তন্বীকে ঢাকার ধানমণ্ডির, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইআইও) প্রভাষক হাসনান আহম্মেদের বাসায় কাজ করতে দেয় তন্বীর মা মেরিনা খাতুন। এরপর থেকেই মিরাজ শেখ নিজের মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন সময় হাসনান আহম্মেদের সাথে যোগাযোগ শুরু করে। দীর্ঘ সাড়ে বছরের মধ্যেও তাকে ফেরত দেয়নি তারা। তন্বী বাড়ি ফিরতে চাইলে উপরন্তু তন্বীকে নানাভাবে নির্যাতন শুরু হয়। যার ভিডিওচিত্র রয়েছে পুলিশের হাতে। পরবর্তীতে গত মাসের ৬ জুলাই পল্লবীর জি ব্লকের ২০ নম্বর বাসা থেকে নিখোঁজ হয় তন্বী। আজ পর্যন্ত পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে পারেনি।
তন্বীর বাবা মিরাজ শেখ অভিযোগ করে জানান, তন্বী বাড়ি ফিরতে চাইলে তারা মারধর করতো। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও বাড়ির ছাদে নিয়ে মারধর করছে এমন ভিডিও রয়েছে পুলিশের কাছে। হাসনান আহম্মেদের স্ত্রী রুবী আহম্মেদ আমার মেয়েকে হয়তো পাচার করে দিয়েছে। তাই তারা কোনো খোঁজখবর দিচ্ছে না। এ ব্যাপারে গৃহকর্তা হাসনান আহম্মেদ নিজের ক্ষমতা জাহির করে বলেন, আমি পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে কথা বলেছি। আমি অমুক প্রতিষ্ঠানের ডাইরেক্টর ছিলাম। একজন বিসিএস ক্যাডার তবুও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করছি। তবে এখন পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পায়নি। আমরা চেষ্টা করছি তাকে উদ্ধার করার জন্য। আল্লাহ ভরসা, দেখি তাকে পায় কি না। তন্বীকে নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, তন্বী একটু দুষ্টুমি করেছিলো তাই আমার স্ত্রী তাকে দু-চারটি চড়-থাপ্পড় মেরেছিলো তাকে শাসন করার জন্য। সে সময় পাশের ফ্লাটের লোকজন আমাকে ফাঁসানোর জন্য ওই ভিডিও করেছে।
এ ব্যাপারে রূপনগর থানার এসআই কাজী রায়হানুর রহমান জানান, নিখোঁজ তন্বীকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত তাকে পাওয়া যাবে।