ফলো আপ: চুয়াডাঙ্গার দোস্ত বাজারে সরকারি কোটি টাকার সম্পত্তি প্রভাবশালীদের দখলে

মাপজোখ করতে কে খুঁড়তে বেরিয়ে এল সাপ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদরের দোস্ত বাজারের সরকারি কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন থেকে ভোগদখল এবং লিজ দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়া ও ভাড়া দিয়ে আসছিলো। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হলে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে দোস্তবাজারে সরকারি জায়গার মাপজোখের উদ্যোগ নেয় হয়। গতকাল বুধবার মাপজোখ করতে গিয়ে কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে পড়ে সাপ। এখন দেখার বিষয় জেলা পরিষদের সরকারি সম্পত্তি দখল মুক্ত করে নতুন করে লিজের আওতায় আনা হবে, না কি দখলদারদের কাছেই থেকে যাবে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্ত বাজারের সরকারি বেশ কিছু জমি দীর্ঘদিন থেকে ভোগদখল করে লিজ দিয়ে এবং নিজে পাকা দোকানঘর নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছিলো স্থানীয় কিছু ব্যাক্তি। এদের মধ্যে বেগমপুর ইউনিয়নের কুন্দিপুর গ্রামের গুলু শেখের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন প্রভাব খাটিয়ে দখলিয় জমি স্থায়ীভাবে আসন গাড়তে দুটি পাকা দোকানঘর নির্মাণ করছিলো। বিষয়টি নিয়ে গত দুদিন দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় সরকারি জমিতে প্রভাবশালীর দোকানঘর নির্মাণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামান সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে মাপজোখের নির্দেশ দেন বেগমপুর ভূমি অফিসকে। নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ মোতাবেক গতকাল বুধবার মাপজোখের কাজ শুরু করে ভূমি অফিসের লোকজন। দখলদার সাজ্জাদ হোসেনের সীমানা মাপতে কেঁচো খুড়তে বেরিয়ে পড়ে সাপ। দোস্ত বাজারের প্রধান সড়কের এক পাশে শুধু সাজ্জাদ না ২০ জন ব্যাক্তি জেলা পরিষদের সরকারি কোটি কোটি টাকার জমি দীর্ঘদিন ভোগদখল করে আসছে। এদের মধ্যে আবার কেউ কেউ লাখ লাখ টাকায় নিজের পজিশন লিজ দিয়ে মাসে মাসে ভাড়া নিচ্ছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, জায়গাটি জেলা পরিষদের। আর জেলা পরিষদ কোনো খোঁজখবর না রাখায় সরকারি সম্পত্তি আজ ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তিতে পরিণত হতে চলেছে। দখলদাররা এতোদিন গায়ের জোরে নিজেদের সম্পত্তি অথবা ঈদগার সম্পত্তি বলে দাবি করে এলেও আজ তা পরিষ্কার হয়েছে। জেলা পরিষদ একটু উদ্যোগী হলে বেদখল হওয়া এ সম্পত্তি থেকে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করতে পারবে। এখন দেখার বিষয় জেলা পরিষদ কি করে? এদিকে দখলদার সাজ্জাদ হোসেন নিজের দখলিয় জমি টিকিয়ে রাখতে শুরু করেছে দৌড়ঝাঁপ। কারণ তার দখলে রয়েছে প্রায় কোটি টাকার সম্পদ। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত এসিল্যান্ড বলেন, পত্রিকা মারফত জানতে পেরে সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে উদ্যোগ নিয়ে মাপজোখ করা হয়েছে। বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানো হবে। বিষয়টির প্রতি জেলা প্রশাসন নজর দেবে বলে সচেতনমহল মনে করছে।