কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার ইবি থানার নাশকতা মামলায় আদালত জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া কুষ্টিয়া সদর থানার নাশকতা মামলায় আরও ৭ নেতার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আদালত সুত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শফিউর রহমানের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন। অপরদিকে জেলা বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আল আমিন কানাই, জেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মঈদ বাবুল, জেলা যুবদলের যুগ্মআহবায়ক মহিউদ্দিন চৌধুরী মিলন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক একে শাওন, আবু সাঈদ জাকারিয়া উৎপল, কুষ্টিয়া শহর ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মিথুন ও কল্লোল একই দিন সদর আমলি আদালত-১’র বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদুর রহমানের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ জানুয়ারি কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের শান্তিডাঙ্গা এলাকায় একটি ট্রাকে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় ইবি থানা পুলিশ বাদী হয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৫৭ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে মামলা করে। এ মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। গত ১৬ জুলাই সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তার জামিন লাভ করেন। ৫ জানুয়ারি বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে শহরের বড় বাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৬০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ। এ মামলায় গত ১৬ জুলাই আল আমিন কানাই, আব্দুল মঈদ বাবুল, মহিউদ্দিন চৌধুরী মিলন, একে শাওন, আবু সাঈদ জাকারিয়া উৎপল, মাহফুজুর রহমান মিথুন ও কল্লোল হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তার জামিন লাভ করেন। হাইকোর্টে দেয়া জামিন শেষে তারা গতকাল বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।