স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা গাছচোর সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মামলা করেও পার পাওয়া যাচ্ছে না। সড়কের ধারের গাছ চুরি থামছে না। জেলার কয়েকটি রোড থেকে ইতোমধ্যে অধিকাংশ গাছ হাওয়া করে দিয়েছে চোরেরা। এই বেপরোয়া চোরদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেও তেমন ফল পাচ্ছেন না লুৎফর রহমান। চোরেরা বিভিন্নভাবে হুমকিধামকিও দিচ্ছে মামলা তুলে নিতে। মামলার দু আসামি ধরা পড়লেও অন্যরা রয়েছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
মামলাসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দলকালক্ষ্মীপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে মো. লুৎফর রহমান বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের মুক্তিপাড়ার বাসিন্দা। তিনি গত ২৩ জুলাই চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় গাছচোর সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়। মামলার দু আসামি চুয়াডাঙ্গা ইসলামপাড়ার মৃত কাদের সর্দারের ছেলে কালু ও মনছুর ফকিরের ছেলে রায়হান ধরা পড়লেও অন্যরা রয়েছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এ মামলার অন্য আসামিরা হলো একই পাড়ার মনছুর ফকিরের ছেলে উজ্জ্বল,আনোয়ারের ছেলে চাইনিজ,আলেক মণ্ডলের ছেলে সইদুল, ভাদু মল্লিকের ছেলে মিনু, ঝুনু মল্লিকের ছেলে জিকু, নগরের ছেলে হামজা, কাছেদের জামাই সেলিম, শাহাবুদ্দিনের ছেলে জুয়েল ও মুজিব পিতা অজ্ঞাত। এছাড়া বাগানপাড়ার টুকুর ছেলে জিয়া ও মনার ছেলে মুক্ত এ মামলার আসামি। মামলাসূত্রে আরো জানা যায়,২০১০ সালে ১০৪ সদস্যের সমন্বয়ে ১০ বছরের চুক্তিতে চুয়াডাঙ্গা বন অধিদফতরের মাধ্যমে ঘোড়ামারা ব্রিজ সংলগ্ন নবগঙ্গা খালের দু পাশে এবং ঘোড়ামারা ব্রিজ সংলগ্ন রেললাইনের দু ধারের সরকারি ১৫ কিলোমিটার খাসজমিতে বৃক্ষরোপণ করা হয়। মামলার ১ নম্বর আসামি কালু গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলো। কিন্তু সে অন্য চোরদের সাথে নিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার গাছ চুরি করে নিয়ে গেছে। মামলার বাদী লুৎফর রহমান জানান,চোরেরা বিভিন্ন লোকজনকে দিয়ে নানাভাবে হুমকিধামকি দিচ্ছে। তিনি পুলিশ প্রশাসনের কাছে অন্য চোরদের ধরে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি জানিয়েছেন।