আসামি ছিনিয়ে নিতে পুলিশকে মারধর : একজন গ্রেফতার

গাংনীকাজিপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান

 

গাংনী প্রতিনিধি: মাদকব্যবসায়ী ভাইকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশ সদস্যদের মারধর করেও শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশের তিন সদস্য মারধর ও ধস্তাধস্তির শিকার হলেও আলোচিত মাদকব্যবসায়ী এখলাছ হোসেনকে (৪৫) ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার বিকেলে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তী কাজিপুর গ্রামে। গ্রেফতারকৃত মাদকব্যবসায়ী এখলাছ হোসেন কাজিপুর গ্রামের মৃত আজিত মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে কাজিপুর গ্রামের চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী এখলাছের বাড়িতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তিন সদস্যদের একটি দল অভিযান চালায়। অভিযানে ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ এখলাছকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। এখলাছের হাতে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে আসাতে উদ্যত হলে ঘটে বিপত্তি। এখলাছের ভাই শহিদুল ইসলাম, ছেলে সবুজ ও শহিদুলের নাতিসহ পরিবারের কয়েকজন ডিবি সদস্যদের ওপর হামলে পড়ে। ডিবি কনস্টেবল হেলাল উদ্দীন, মাহফুজুল ও আরিফ রহমানকে মারধর করে এখলাছকে ছিনিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা করে। কিন্তু তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। হামলার স্বীকার হয়েও ডিবি সদস্যরা এখলাছকে জাপটে ধরে সঙ্গীদের খরব দেয়। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলের অদূরে অবস্থান করা ডিবির গাড়িতে কয়েকজন সদস্য এখলাছের বাড়িতে পৌঁছায়। এ সময় পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।

ডিবির এসআই জালাল উদ্দীন জানান, এখলাছের পাশাপাশি হামলাকারীদের বিরুদ্ধেও মামলা করা হচ্ছে। সরকারি কাজে বাধাদান ও মাদকব্যবসায় সহযোগিতার অপরাধে তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে। ঘটনার পর থেকে তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এখলাছকে গাংনী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

এদিকে এখলাছ গ্রেফতার হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে ফেনসিডিল ব্যবসা করে সে যুবসমাজকে ধ্বংস করেছে বলে জানান গ্রামের কয়েকজন। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মানুষের ছত্রছায়ায় ব্যবসা করায় তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনি। এখলাছ গ্রেফতার হলেও তার সহযোগী আরিফ হোসেন ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। আরিফসহ কয়েকজন ভারত থেকে ফেনসিডিল সংগ্রহ করে এখলাছের মাধ্যমে বিক্রি করতো বলে জানিয়েছেন স্থানীয় অনেকেই।

Leave a comment