ইবি সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুমকি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের

 

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) কর্মরত সাংবাদিকদের দেখে নেবার হুমকি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। হুমকিদাতা শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল। কুষ্টিয়ার একটি স্থানীয় পত্রিকায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্যের বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে করা মানববন্ধনে বুধবার তিনি এ হুমকি দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার স্থানীয় একটি দৈনিক কুষ্টিয়ার খবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারি, আর্থিক কেলেঙ্কারি, পিএইচডি জালিয়াতি ও ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিতে ইন্ধনদাতার অভিযোগে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদের জের ধরে ওই দিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একটি মানববন্ধন করে এবং উপউপাচার্য নিজে বাদি হয়ে কুষ্টিয়ার খবর পত্রিকার সম্পাদক জুবায়েদ রিপনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে ওই সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে আরও একটি মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মনববন্ধন ও সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিষ্ট্রার আলমগীর হোসেনের পরিচালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. বাকীবিল্লাহ বিকুলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় একশত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় বক্তারা কুষ্টিয়ার খবর পত্রিকার সম্পাদকের বিচার ও শাস্তির দাবি জানান।

মানববন্ধন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক শাহিনুর রহমানের ঘনিষ্ঠভাজন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বাকীবিল্লাহ বিকুল তার বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুমকি দেন। পাশাপাশি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা কে কোন বিভাগে পড়াশোনা করছে তাও আমাদের জানা আছে, প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আইন হাতে তুলে নেয়া হবে।

এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল বলেন, আমি উত্তেজনাবশত একটি কথা বলে ফেলেছি। আসলে আমার এটি বলা ঠিক হয়নি। এজন্য আমি ভুল স্বীকার করছি। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সংগঠন প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির এক যৌথ সভার মাধ্যমে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান।