বাকৃবি ছাত্রলীগ নেতাদের গণপদত্যাগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অপরাজনীতি ও স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ তুলে গণপদত্যাগ করেছে ৬৭ নেতা। একই সাথে নতুন কমিটির দাবি করেছেন ওই নেতারা। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা গণপদত্যাগ করেন। বাকৃবি ছাত্রলীগ অনুমোদিত হল কমিটির ১২ জন নেতা পদত্যাগ করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে টিএসসিতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রলীগের যুগ্মং সম্পাদক খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাকৃবি ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তাদের অনুগত ক্যাডারদের সীমাহীন সন্ত্রাস, মাদক, শিক্ষার্থী নির্যাতন, শিক্ষক লাঞ্ছনা, ছাত্র হত্যা, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিতে লিপ্ত হয়ে ৪টি মামলায় অভিযুক্ত। মামলার আসামি হিসেবে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক, দুজন সহসভাপতিসহ মোট ৭ জন জেলহাজতে রয়েছে। বাকিরা পালাতক। বর্তমান ছাত্রলীগ কমিটিকে মেয়াদোত্তীর্ণ উল্লেখ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে নতুন কমিটি দেয়ার দাবি জানানো হয়। এছাড়া বাবু-সাইফুলের অপরাজনীতির বলি হয়ে হত্যা মামলার আসামি ১৪ জন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হয়েছে ৬ জন, বিএফআরআই এ টেন্ডারবাজি করতে গিয়ে দ্রুত বিচার মামলার আসামি ৩ জন এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় ৭৫ জন আসামি। শুধু তাই নয়, ছাত্রলীগ নামধারী গুটিকয়েক ক্যাডারের জন্য সেশনজট মুক্ত ক্যাম্পাস পড়েছে ৬ মাসের সেশনজটে।

পদত্যাগ করা নেতাদের মধ্যে আছেন- সহসভাপতি ১ জন, যুগ্মসম্পাদক ৩ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ৩ জন, সম্পাদকীয় পদে ১৯ জন, উপসম্পাদক ১৬ জন, সহসম্পাদক ৪ জন, কার্যকরী সদস্য ২১ জন। এছাড়া ওই কমিটি অনুমোদিত বিভিন্ন আবাসিক হল কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১২ জন পদত্যাগ করেছেন। গত ৩ জুলাই তারিখ উল্লেখ করে ঈদের ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সময় ফেসবুকে হল কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়ে বাকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান খান বাবুর সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

Leave a comment