গাংনীর রাজা ক্লিনিকে প্রশাসনিক চাপ : সেই সানাউল্লাহ বহিষ্কার

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী রাজা ক্লিনিকের এক্স-রে কক্ষে এক নারীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের চাপে পড়েছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। তবে অভিযুক্ত সানাউল্লাহকে গতকাল শনিবার চাকরিচ্যুত করা হলেও তা নিয়ে এলাকাবাসীর মনে সংশয় কাটছে না। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন জানান, রোগীর শ্লীলতাহানির খবরটি তিনি দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারেন। এর আগেও এরকম কয়েকটি ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে রাজা ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজার কাছে জানতে চেয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজা জানান, রাজনৈতিক চাপে তিনি সানাউল্লাহর বিরুদ্ধে পূর্বে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি। এবার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পাশাপাশি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে চাপ দেয়া হয়েছে। মেহেরপুর ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান জানান, পত্রিকার মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে তিনি গতকাল ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সানাউল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। তা না হলে ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে গতকালই সানাউল্লাহকে মৌখিকভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানান ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজা। আজ রোববার লিখিতভাবে তাকে স্থায়ী চাকরিচ্যুত করা হবে বলে জানান তিনি।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন জানান, রোগীরা অনেক বিশ্বাস ও আশা ভরসা নিয়ে ক্লিনিক-হাসপাতালে সেবা নিতে যান। কিন্তু একজন দায়িত্বশীল মানুষ যদি তাকে অপমানিত করে সেটি কোনো অবস্থাতেই মেনে নেয়া হবে না। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ যদি সানাউল্লাহর বিরুদ্ধে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে সেক্ষেত্রে ক্লিনিকের বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে স্থানীয় মানুষের মনে সানাউল্লাহর চাকরিচ্যুতি নিয়ে নানান সংশয় দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ থাকলেও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ছিলো নিশ্চুপ। তাই এবারও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না কি আইওয়াশ তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে এলাকার মানুষ।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশিরপাড়া গ্রামের এক নারী রাজা ক্লিনিকে এক্স-রে করার সময় এক্স-রে টেকনিশিয়ান সানাউল্লাহ তাকে শ্লীলতাহানি করে। ওই নারী পালিয়ে বাড়ি পৌঁছুলে তার স্বজন ও এলাকার মানুষ ক্লিনিকে গিয়ে সানাউল্লাহকে মারধর করে তার শাস্তি দাবি করে।