এখনও তো ৱ্যাব-পুলিশ আমাকে ফেনসিডিলসহ আটক করেনি তাহলে আমি ফেনসিডিলের ব্যবসায়ী তার কি প্রমাণ আছে?

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার হাউসপুরের নাসির এখন শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী দামুড়হুদার কুতুবপুরের জিয়ার প্রধান এজেন্ট। নাসির আশপাশের বিভিন্ন শহরে ফেনসিডিল পাইকারি মূল্যে সাপ্লাই দেয় বলে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি।

সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদার কুতুবপুরের মৃত মক্কর আলীর ছেলে জিয়া (৩৫) দীর্ঘদিন ধরে দামুড়হুদা এলাকায় মাদকদ্রব্যের ব্যবসা করে। সে ছিলো ফেনসিডিল ব্যবসার ডিলার হিসেবে এলাকায় পরিচিত। দামুড়হুদা থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকায় সে পালিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আলমডাঙ্গা শহরের আনন্দধাম এলাকায় এক প্রবাসির বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো। এখানে সে জমজমাট মাদকব্যবসা করে আসছিলো। ৩ মাসে আলমডাঙ্গা এলাকায় সে ফেনসিডিলের ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। মাদকব্যবসায়ী জিয়া আলমডাঙ্গার হাউসপুরের নাসির নামের এক যুবকে সে সময় তার ব্যবসায় ভেড়ায়। নাসিরকে দিয়ে ফেনসিডিলের বড় বড় চালান নিকট দূরের বিভিন্ন শহরে পৌঁছে দিতো সে। স্থানীয় যুবক নাসিরকে কবজা করতে পেরে জিয়া হয়ে ওঠে আলমডাঙ্গার মাদক মহলে সর্বেসর্বা। গত মে মাসের প্রথম সপ্তায় আলমডাঙ্গা শহরের কলেজপাড়ার এক সাবেক মাদকবিক্রেতাকে সে তার নিকট থেকে ফেনসিডিল নিয়ে বিক্রির প্রস্তাব দেয়। রাজি না হওয়ায় মাদকসম্রাট জিয়া তার মোটরসাইকেল কেড়ে নেয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় সে এলাকায় আরও আলোচিত হয়ে ওঠে। এরপর থেকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি টিম তাকে গ্রেফতারের জন্য খুঁজতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে ১৫ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাউসপুর এলাকার আটকপাট নামক স্থান থেকে ফেনসিডিল ব্যবসায়ী জিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসআই মকবুল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে গ্রেফতার করে সংশ্লিষ্ট মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

এদিকে ফেনসিডিল ব্যবসায়ী জিয়া জেলে যাওয়ার সুযোগে হাউসপুরের নাসির জিয়ার ব্যবসার দায়িত্ব গ্রহণ করে। সে বিভিন্ন শহরে ফেনসিডিলের চালান সরাসরি পৌঁছে দেয়া ছাড়াও এলাকায় প্রতিদিন আকর্ষণীয় মজুরি দিয়ে অশোকসহ ৪ জনকে ব্যবহার করে এলাকায়ও জমজমাট মাদকব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অনেকে দাবি করেছে। নাসিরকে তার আত্মীয়রা পরামর্শ দিয়েছিলো ফেনসিডিলের ব্যবসায় না জড়াতে। নাসির বলে, আমি কী বাড়িতে ব্যবসা করি? লোক কি আমার বাড়ি গিয়ে ভিড় করে? ফেনসিডিল বিক্রির যে অভিযোগ নাসিরের বিরুদ্ধে উঠেছে তা সত্য কি-না জিজ্ঞাসা করলে সে জানিয়েছে- এখনও তো ৱ্যাব-পুলিশ আমাকে ফেনসিডিলসহ আটক করতে পারেনি, তাহলে আমি ফেনসিডিল ব্যবসায়ী তার প্রমাণ কি আছে সাংবাদিকের কাছে?