মিরপুরে হিরোক জোয়ার্দ্দার আটকের ঘটনায় এলাকায় স্বস্তির নিঃশ্বাস : মিষ্টি বিতরণ

 

মিরপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার মিরপুরে জোয়ার্দ্দার বাহিনীর অন্যতম ক্যাডার হিরোক জোয়ার্দ্দার আটক হওয়ায় এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। একই সাথে বিভিন্ন ভুক্তভোগী অনেকেই মিষ্টি বিতরণ করেছে।

জানা গেছে, জোয়ার্দ্দার বাহিনীর দুর্ধর্ষ ক্যাডার হিরোক জোয়ার্দ্দার চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও মিরপুর উপজেলার সামনে তার নিজস্ব অফিসে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের শিকার হয়েছে অনেক নিরীহ মানুষ। তার এ অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ টুশব্দ করলেই তার ওপরে ব্যাপক অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করতো সে ও তার ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানিয়েছে, হিরোক জোয়ার্দ্দার আটকের পরপরই জোয়ার্দ্দার বাহিনীর পূর্বের অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা মিরপুর বাজারের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে বেড়াচ্ছে। যার ফলে বাজারের ব্যবসায়ীরা ও এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। অন্যদিকে হিরোক জোয়ার্দ্দারের আটকের ঘটনায় মিরপুরের সর্বস্তরের মানুষ স্থানীয় থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী জালাল উদ্দিনসহ থানার সবাইকে সাধুবাদ জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার রাত ৮টার দিকে হিরোক জোয়ার্দ্দারের বড় ভাই আবুল কাশেম জোর্য়াদ্দার মিরপুর বাজারে বকুলের ফলের দোকানে আনারস কিনতে যায়। কিন্তু ওই দোকানে কাশেম জোয়ার্দ্দারের প্রায় ৪০ হাজার টাকা বাকি থাকায় দোকানির ছেলে মীর ইফতেখার তানভীর আনারস দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে মারধর করে। সংবাদ পেয়ে আবুল কাশেম জোয়ার্দ্দারের ছোট ভাই হিরোক জোর্য়াদ্দার তার বাহিনীর লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে ইফতেখারের চাচা উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য নজিবর রহমান ওরফে মুকুলকেও মারধর করলে পার্শ্ববর্তী দোকানদার তার ছোট ভাই বিপুল ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও বেধড়ক মারপিট করে। ঘটনার সময় বাজারে টহলরত মিরপুর থানার উপপরিদর্শক আব্দুল হালিম সেখানে গেলে তাকেও মারধর করে হিরোক জোয়ার্দ্দাররা। খবর পেয়ে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ওই রাতেই হিরোক জোর্য়াদ্দারকে আটক করে থানায় নেয়। এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ মারধরের অভিযোগে থানায় মামলা হয়। মামলায় হিরোক জোর্য়াদ্দার ও তার ভাই আবুল কাশেম জোর্য়াদ্দারসহ অজ্ঞাত ৮/১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আবুল কাশেম জোয়ার্দ্দার পলাতক রয়েছে। হিরোক জোয়ার্দ্দারকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অবৈধ অস্ত্র, বোমা ও মাদকদ্রব্য বিকিকিনির অনেক অজানা ভয়ঙ্কর তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে ধারণা করছে এলাকাবাসী।