স্টাফ রিপোর্টার: এবার ১ নভেম্বর থেকে অষ্টম শ্রেণির সমাপনী শুরু হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সভায় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা শুরুর এই তারিখ ঠিক করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী বলেন, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষা শুরুর তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে। তবে এখনও পরীক্ষাসূচি ঠিক হয়নি।
সভায় ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা সচিব অরুনা বিশ্বাস, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রাখাল চন্দ্র বর্মন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক, পুলিশ হেড কোয়ার্টারের ডিআইজি (প্রশাসন) বিনয় কৃষ্ণ বালা, সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোখলেসুর রহমান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সহকারী পরিচালক ইশতিয়াক আরিফ, বিজি প্রেসের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফাঁসের গুজব ছড়ালে বা এসব স্থানে লাইক বা শেয়ার করলে আইসিটি আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফাঁসের গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, পরীক্ষা শুরুর হওয়ার আগে থেকেই সারাদেশের কোচিং সেন্টার, ফটোকপি দোকানে নজরদারি রাখা হবে। যে সব ব্যক্তি প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন বা পরীক্ষা শুরু হওয়ার আধাঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র খুলে মোবাইলে ফটো তুলে ফেসবুক বা হোয়াটসআপে তুলে দেন তাদের মহান শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে চোরের পেশায় নাম লেখাতে পরামর্শ দেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, এবার এসব অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় বিজি প্রেসের গোপনীয় শাখায় কর্মরত ও প্রতিটি শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী ও মডারেটরদের প্রত্যেকের ছবি, মোবাইল নম্বর, বাসার ঠিকানা ও টেলিফোন নম্বর, বাসার অন্য সদস্যদের মোবাইলফোন নম্বর ইত্যাদি পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার হাতে হস্তান্তর করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রশ্নপত্র ছাপানোর সময় প্রতিদিন বিজি প্রেসের সিসিটিভি ক্যামেরার ছবি পর্যালোচনা করা হবে।