কনের পিতা ও বরযাত্রীদের পলায়ন : ভেস্তে গেলো বাল্যবিয়ে

বাল্যবিয়ে রোধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পদক্ষেপ

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাল্যবিয়ে রোধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামানের পদক্ষেপে ১৩ বছরের খালেদা আক্তার পেলো অভিশপ্ত বিয়ে থেকে রক্ষা। তিনি আকস্মিক ঘটনাস্থলে উপস্থিতি হলে কনের পিতা ও বরযাত্রীরা পালিয়ে যান। গতরাত ১১টায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়া বাগানপাড়ায় বাল্যবিয়ে হবে। এ খবর জেনে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ ফোর্স সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান আ. রহমান এ বাল্যবিয়ে রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে সহায়তা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। একই সাথে গ্রামের আ. কাদের ও শিক্ষিত কিছু যুবকরাও এ বিয়ে বন্ধে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহায়তা করে।

গ্রাম্যসূত্রে জানা গেছে, কনে দেখতে এসে গভীর রাতে বিয়ে পড়ানো হবে এমনটিই বন্দোবস্ত ছিলো। তড়িঘড়ি করে বরপক্ষ আসার সাথে সাথে নাস্তা ও খাবারের আয়োজন করা হয়। কিন্তু ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক হাজির হয়ে সব আয়োজন পণ্ড করে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামান। উল্লেখ্য, গাড়াবাড়িয়া গ্রামের সামাদ আলী ওরফে তুকোর ছোট মেয়ে খালেদা আক্তারকে দশমাইল সাধুহাটি গ্রামের এক আত্মীয় যুবকের সাথে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিলো। খালেদা মাখালডাঙ্গা-দীননাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। গ্রামসূত্রে জানা গেছে, গ্রাম্য মসজিদের ইমাম হারুন-অর-রশীদের বিয়ে পড়ানোর কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত বিয়ে স্থলে ইমাম হাজির হননি। নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা বিয়ে স্থলে পৌঁছুলে গ্রামের অনেক নারী-পুরুষ ও যুবকরা জড়ো হন। তাদের উদ্দেশে নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বাল্যবিয়ে পড়ানো, বিয়ের আয়োজন, বিয়ে আয়জনে সহযোগিতা করা আইননত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ অপরাধ কেউ করবেন না, কাউকে এ অপরাধ করতে দেবেন না। বাল্যবিয়ের তথ্য পেলেই আমাদেরকে জানাবেন।