তিন দিনের ডিসি সম্মেলন শুরু হচ্ছে আজ

 

স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান মেয়াদে প্রথম ডিসি সম্মেলন শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। তিন দিনের এ সম্মেলনে সরকারের মাঠ পর্যায়ের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা সকল বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) যোগ দিচ্ছেন। এসব কর্মকর্তার সম্মেলনে করণীয় সম্পর্কে গতকাল সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসেইন ভূঞা কমিশনার ও ডিসিদের ব্রিফিং করেন। এবার মোট ২২টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১৮টি কার্য অধিবেশন। সম্মেলন উপলক্ষে ডিসিরা মোট ২৫৩টি প্রস্তাব দিয়েছেন। অধিবেশনে এসব প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে। এ সম্মেলন উপলক্ষে গতকাল রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঞা। তিনি জানিয়েছেন, সম্মেলনে আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে থাকছে ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার, ই-গভর্ন্যান্স শিক্ষার মানোন্নয়ন ইত্যাদি। তিন দিনের সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সাথে সাক্ষাত করবেন ডিসিরা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, গত বছর ডিসি সম্মেলনে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছিলো তার প্রায় ৯৩ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। তখন ডিসিদের সুপারিশের মধ্যে স্বল্প মেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য ১৫৮টি সুপারিশ গ্রহণ করা হয়েছিলো যার মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে ১৫৪টি, মধ্যমেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ ছিল ১৩৩টি, যার মধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে ১২৮টি আর দীর্ঘ  মেয়াদের ১৭৩টি সুপারিশের বাস্তবায়ন হয়েছে ১৭৩টি। মোট সুপারিশ ছিলো ৪৬৭টি। তবে সর্বোপরি প্রত্যক্ষভাবে জনসম্পৃক্ততার সুপারিশের মধ্যে মোবাইল কোর্ট অধ্যাদেশের সংশোধনই হচ্ছে উল্লেখযোগ্য। এ সংশোধনীর ফলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা অপরাধ আমলে নেয়া এবং অপরাধ অস্বীকার করলেও অপরাধীর বিচার করতে সক্ষম হবেন। এছাড়া কোন অপরাধী পালিয়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে আইনানুগ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিতে পারবেন, যেটি ২০০৯ সালের মোবাইল কোর্ট অধ্যাদেশে ছিলো না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো থেকে প্রাপ্ততথ্য অনুযায়ী এবারও দেশের সার্বিক আইন-শৃংখলা, দ্রব্যমূল্য, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদি বিষয় আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। ডিসিরা নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের সমস্যাবলিও তুলে ধরবেন। কথায় কথায় উঠে আসতে পারে জেলার বিভিন্ন সমন্বয় কমিটির কার্যকারিতার বিষয়ে। ডিসিদের দীর্ঘদিনের অভিযোগের অন্যতম হলো বেশিরভাগ আইন-শৃংখলা সংক্রান্ত উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় পুলিশ সুপারদের অনুপস্থিতির বিষয়টি। অবশ্য এটি কিছু কিছু ক্ষেত্রে হলেও অনেক ক্ষেত্রে এখন সমন্বয় ভালো-এমন দাবিই করেছেন বেশিরভাগ জেলা প্রশাসক।