আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে ঘরে তোলাকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে এক নাবালিকাসহ তিনজন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যার পর জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের কুলতলা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
গ্রামবাসীসূত্রে জানা গেছে, কুলতলা গ্রামের মৃত মাওলা করিমের ছেলে জিয়াউদ্দিন জিয়া গ্রামেরই সাইদার আলীর মেয়ে রাবেয়া খাতুনকে (২৬) বিয়ে করে। দাম্পত্য জীবনে ৩টি সন্তান নিয়ে সুখ-শান্তির সাথে বসবাস করে আসছিলো। সম্প্রতি স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিকের সাথে অনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বামী দেখে ফেলায় তাকে তালাক প্রদান করেন। গত শনিবার রাবেয়া খাতুনকে তার পিতাপক্ষ জিয়া উদ্দীনের বাড়িতে তুলে দিলে জিয়ার ভাই হাশেমসহ স্বজনরা তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে ঘরে তুলে দেয়ার প্রতিবাদ করায় সকালের দিকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিবাদকারীসহ বাড়ির মহিলাদের সাইদার পক্ষ বেধড়ক মারপিট করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনভর গ্রামে উত্তেজনা চলছিলো। সন্ধ্যার পর ফের সৃষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দু পক্ষই সংঘর্ষে দেশীয় ধারালো দা ও লাঠিসোঁটার আঘাতে আব্দুস সালাম মোল্লার ছেলে সাইফুল (৩২), ইহান নবীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৫৩) ও তার নাবালিকা মেয়ে জুলি খাতুন (১৪) রক্তাক্ত আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করার পর আনোয়ার হোসেনের অবস্থার অবনতি দেখা দেয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর আড়াইশ বেড হাসপাতালে রেফার করেন। রাতেই তার স্বজনরা তাকে যশোর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বর্তমানে গ্রামে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তবে এ রিপোট লেখা পর্যন্ত আহতদের পক্ষে কেউ মামলা করেনি বলে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর নিশ্চিত করেছেন।